নিজস্ব প্রতিনিধি: গাংনাপুরের (Gangnapur) নির্যাতিতার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, কবর থেকে দেহ তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে আগামী ১১ মের মধ্যে। উল্লেখ্য, নদিয়া জেলার গাংনাপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপর বিষ খাইয়ে খুন করা হয় নির্যাতিতাকে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটে গত ৬ মার্চ। সময় তখন রাত ১১ টা। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের এই নির্দেশ দেন বিচারপতি (Judge) রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ।
নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারবেড়িয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি নির্যাতিতা মহিলার। স্বামী কাজের সূত্রে থাকেন সৌদি আরবে। ছেলের সঙ্গেই বাড়িতে থাকতেন মৃতা। অভিযোগ, গত ৬ মার্চ রাত ১১ টা নাগাদ গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। তারপর বিষ খাইয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ, নির্যাতনের খবর পেয়ে নির্যাতিতার বাবা- মা অটো করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। দেখেন, তখনও মেয়ে বেঁচে আছে। অভিযোগ, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁদের ২ বার বাধা দেওয়া হয়। এরপর নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবা- মা জোর করে মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় এক নার্সিংহোমে। সেখান থেকে ৭ দিন পর তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী জওহারলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৪ মার্চ দুপুরে মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার।
এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারক রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী ১১ মের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি। এই ঘটনার তদন্ত করবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। নির্যাতিতা- মৃতার মায়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।