নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে গলল বরফ। শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। সূত্রের খবর, বৈঠকে টলি অভিনেতা জানিয়েছেন, দল যদি চায়, তাহলে ফের ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। দল যেখান থেকে লড়তে বলবে, সেখান থেকেই নির্বাচনে লড়বেন তিনি। অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটের বাড়িতে যান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। শাসকদলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরির পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী এবং রুদ্রনীল ঘোষের হাত ধরে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর মতো অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গত মাসে লোকসভার প্রস্তুতি হিসাবে কালীঘাটের বাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দেব। এমনকী ওই বৈঠকে দলের অনুগত কর্মী হিসাবে কাজ করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
দিন কয়েক আগে আচমকাই ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দেব। তার পরেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ লিখেছিলেন ‘সংসদে আমার শেষ দিন’। ফলে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল, রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানাচ্ছেন সাংসদ-অভিনেতা। সেই জল্পনার মধ্যে এদিন আচমকাই বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে হাজির হন দেব।
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিটের মতো বৈঠক করেন সাংসদ অভিনেতা। ওই বৈঠকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে জানান, ‘দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসাবেই থাকবেন। দল যে নির্দেশ দেবে, তা মাথা পেতে পালন করবেন। যেখানে বলবে, সেখান থেকেই দাঁড়াবেন।’ অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে কালীঘাটে যান দেব।