নিজস্ব প্রতিনিধি: একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত কলকাতা। এরমধ্যেই বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি পুরোনো বাড়ির একাংশ। স্থানীয় মানুষজন দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজনকে উদ্ধার করলেও এখনও ধ্বংসস্তুপে এক শিশু-সহ দু’জন আটকে থাকার সম্ভাবনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁরা ও দমকলকর্মীরা মিলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
৯ নম্বর আহিরীটোলা লেনের বাড়িটি বহু পুরোনো। এই দোতলা বাড়িতে থাকতেন দুটি পরিবার। বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ে বাড়িটির একাংশ। ফলে স্বভাবতই ঘুমের মধ্যেই নীচে চাপা পড়ে যায় ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকলবাহিনী। ভেঙে পড়া বাড়ির চাঙড়ে চাপা পড়া অবস্থায় একজন পুরুষ ও মহিলাকে আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই কোনও রকমে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখনও তাঁদের শিশুসন্তান আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে এনডিআরএফ-ও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ৫ থেকে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেলার দিকে এনডিআরএফ বাহিনী ওই ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তুপের নীচ খেকে ২ বছরের শিশুকন্য়া সহ এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তিনি বলেন, আহিরীটোলা ডালপট্টি অঞ্চলে বাড়িটি ধসে পড়েছে। সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সকলে মিলে এই কাজ করছে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বেলার দিকে।
সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্য়ে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা কলকাতায় এরকম তিন হাজারের বেশি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তবে আহিরীটোলা লেনের এই দোতলা বাড়িটি পুরনো হলেও সেই তালিকায় ছিল না। যদিও জরাজীর্ণ অবস্থায় বাড়িটি থাকায় একটানা বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা।