নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়া পুরনিগমের(HMC) নির্বাচন কবে হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সেই নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে। আর সেই সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শহরের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজও। কলকাতার(Kolkata) উল্টো দিকে গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে থাকা হাওড়া শহরকে কলকাতারই যমজ নগরী বলা হয়। কিন্তু সেই শহরের পরিকাঠামো কলকাতার থেকে ঢের বেশি পিছিয়ে। সেখানে বসবাস করা বাসিন্দাদের যে সব সমস্যায় নাজেহাল হতে হয় তার অন্যতম হল পানীয় জলের সমস্যা(Drinking Water Crisis)। মূলত শহরে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে জলের চাহিদাও বেড়ে চলা এবং শহরের সীমানা ক্রমশই বর্ধিত হওয়ায় শহরে জলের আকাল রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধানেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওড়া শহরে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট(WTP)। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে হাওড়াবাসীকে আর পানীয় জলের সমস্যায় আর ভুগতে হবে না। নতুন প্রকল্পটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা সাড়ে ১৫ মিলিয়ন গ্যালন।
আরও পড়ুন টোটো চালিয়ে ভাত জোটান বালুরঘাটের তৃণমূল কাউন্সিলর
জানা গিয়েছে, হাওড়া(Howrah) শহরে যে হারে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে পানীয় জলের চাহিদাও। কিন্তু সেই চাহিদা পূরণ করার মতো পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। শহরের এখন একমাত্র পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প রয়েছে দক্ষিণ হাওড়ার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পদ্মপুকুর এলাকায়। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হলেও দেখা যাচ্ছে তা চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। তার জেরেই এবার ২৫০ কোটি টাকায় হাওড়া শহরে তৈরি হবে দ্বিতীয় জলপ্রকল্প যার শিলান্যাস হয়ে গেল শনিবার। উত্তর হাওড়ার সালকিয়া এলাকার নস্করপাড়া রোডে এই জলপ্রকল্প গড়ে উঠবে। কেএমডিএ(KMDA) এবং হাওড়া পুরনিগমের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প গড়ে উঠতে ২ বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্প চালু হয়ে গেলে উত্তর হাওড়া লাগোয়া গঙ্গা থেকে জল নিয়ে তা পরিস্রুত করে পৌঁছে দেওয়া হবে উত্তর হাওড়া ও শিবপুর এলাকায়। বাড়তি জলের কিছুটা পাবে বালি পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। শনিবার এই প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী এবং স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী।