নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। উনিশের ভোটের আগে এই অর্জুনই যোগ দেন বিজেপিতে(BJP)। টিকিট পেয়ে ভোটে জিতে সাংসদও হয়ে যান। কিন্তু একুশের ভোটে ব্যারাকপুর(Barracpur) মহকুমাজুড়ে তৃণমূলের(TMC) জয়জয়কারের পরে আবার সেই জোড়াফুলেই ফিরে আসেন অর্জুন। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত খাতায়কলমে বিজেপির সাংসদই আছেন। সেই অর্জুনই রবি সকালে মুখ খুললেন। জানালেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, দেখা যাক কী হয়!’ কিন্তু কী নিয়ে মুখ খুললেন তিনি? জানা গিয়েছে, পুজোর মরশুমে দিনের পর দিন একাধিক জুট মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যারাকপুর মহকুমায়। রবিবারও জগদ্দলের একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে বারবার বন্ধ হয়ে যায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কলকারখানা।
তবে প্রত্যেক বার মিল শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দেন ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং। বিগত ৪ মাস ধরে বন্ধ জগদ্দলের এআই চাঁপদানি ফ্লেক্স ইউনিট, তার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শ্যামনগর অন্নপূর্ণা কটন মিলও। জগদ্দলের এআই চাঁপদানি জুট মিলের সামনে বিক্ষোভ দেখান মিল শ্রমিকরা। গোটা বিষয় নিয়ে এক শ্রেণির মিল মালিককে এদিন কাঠগড়ায় তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। ভুললে চলবে না, এই জুটমিল শ্রমিকদের সংগঠন ও তা নিয়ে আন্দোলন করেই বাম জমানায় রাজ্য রাজনীতিতে উঠে আসেন অর্জুন। এখন সাংসদ হয়ে গেলেও সেই জুটমিল শ্রমিকদের তিনি এখনও ভুলে যাননি।
এদিন অর্জুন জানিয়েছেন, ‘এখন তো জুট মিল(Jute Mill) মালিক বলে কিছু নেই। সব এক একটা প্রোমোটার হয়ে গিয়েছে। মাছের তেলে মাছ ভাজার চেষ্টা করছে। মিল মালিকরা আইন মেনে কাজ করছে না। শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি হয়ে যাওয়ার পরেও মিল বন্ধ করে রাখছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে শ্রমিকদের ক্ষোভ বাড়ছে। তার আঁচ পড়বে কর্তৃপক্ষের ওপর। মালিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি জেরেই মাঝে মধ্যেই মিল বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। আমি গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। দেখা যাক কী হয়?’ অর্জুন ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪’র ভোটে সম্ভবত তৃণমূল থেকে অর্জুনই প্রার্থী হবেন ব্যারাকপুরে। তার আগেই মহকুমাজুড়ে জুটমিল শ্রমিকদের নিয়ে বড়সড় আন্দোলন শুরু করতে পারেন তিনি। সেই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই হবে শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে জুট মিল মালিকদের হওয়া চুক্তি বাস্তবায়িত করা এবং বন্ধ জুট মিল খোলা।