নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ছ’মাসের মধ্যে চালু হতে চলেছে নির্মীয়মাণ টালা ব্রিজ। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে কাজ। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, বাংলায় দুর্গা পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ করতে ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মাঝেরহাট সেতুর ধাঁচে কেবল স্টেড রেলওভার ব্রিজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে টালা সেতু। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর মধ্যে ২৪০ মিটার অংশ শূন্যে ঝুলবে। পাশাপাশি নতুন করে এই সেতুতে চারটি লেন করা হচ্ছে। আগে পুরনো সেতুতে তিনটি লেন ছিল। নতুন ব্রিজটি শুধু চার লেন বিশিষ্ট হবে তা নয়। তার দু’পাশেই থাকবে ফুটপাথ।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, ১৯৬৩ সালে নির্মিত টালা ব্রিজের অবস্থা খুব খারাপ। এর পরই ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকেই এই সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেতুর পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ভাঙার আগে পুরনো টালা ব্রিজটি ১৫০ টন ভারবহন করতে পারত। রাজ্য পূর্ত দফতরের দাবি, নতুন সেতুটি ৩৮৫ টন ভারবহন করতে পারবে। নতুন সেতুটির নির্মাণকাজের তদারকি করে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “করোনার জেরে মাঝে গতি শ্লথ হলেও এখন পূর্ত দফতরের পাশাপাশি পুরসভাও নির্মাণ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে নজরদারি চালাচ্ছে। এখন যে গতিতে দিনে-রাতে কাজ চলছে তাতে পুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজটি সাধারণের জন্য উদ্বোধন করতে পারবেন।” বলার অপেক্ষা রাখে না নতুন টালা ব্রিজটি চালু হলে উত্তর কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দাদের যাতায়াতে অনেকটা সুবিধা হবে।