নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার তো বটেই, দেশের মধ্যেও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। পড়তে আসেন ভিন্ন দেশের পড়ুয়ারাও(Students)। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই কিনা জীবন অতিষ্ট হচ্ছে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। আর সেটাও হচ্ছে কিনা এক শ্রেনীর নেশাড়ুদের(Drug Addicted) জন্য। সেই সব নেশাড়ুরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকেই(Campus) তাদের নেশা করার ঠেক বানিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে বিকালের পর গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চলে যাচ্ছে নেশাড়ুদের কবলে। এদের মধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, বাকিরা মূলত বেশিরভাগটাই বহিরাগত(Outsiders)। আর এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চূড়ান্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটা বড় অংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির কাছে আবেদন রাখলেন, নেশাড়ুদের এই উৎপাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সন্ধ্যার পর পঠন-পাঠন ও গবেষণার যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার। চাঞ্চল্যকর এবং একই সঙ্গে উদ্বেগের এই ছবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University)।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেনীর পড়ুয়াদের উচ্ছৃংখল ও নেশাময় জীবনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু কোভিডের পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মদ ও মাদকের ব্যবহার ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে নানামহল থেকে অভিযোগ উঠছিল। কিছুদিন আগেই এক নেশাড়ু মাদকাসক্ত এক অধ্যাপকের গালে কামর বসিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়েছিল। তাতেও অবশ্য পরিস্থিতির সেভাবে কিছু বদল হয়নি। উল্টে পুজোর ছুটির মধ্যে কার্যত গোটা ক্যাম্পাসই বহিরাগত নেশাড়ুদের দখলে চলে যায় বলে এখন অভিযোগ উঠেছে। এর পরে পরেই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় যাতে সন্ধ্যার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পঠন-পাঠন না চালানোর। এই ঘটনার পরে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মদ-মাদক ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ আটকাতে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাস জুড়ে নিয়মিত টহল, মাদকাসক্ত ও মদ্যপ অবস্থায় কেউ ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এই সব জানিয়ে ফ্লেক্স টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।