নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাকালে কালীপুজো থেকে ছট পুজো ও গুরু নানক জন্মজয়ন্তি হয়ে ইংরেজি নতুন বছরে আতসবাজি ফাটানো ও বিক্রিতে নানা টালবাহানা চলছেই। হাইকোর্টের নিষেধের পর সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয়। আর সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের তরফে বুধবার নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বাজি পোড়ানো ও বিক্রির বিষয়ে। সবুজ আতশবাজি ছাড়া অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির কেনাবেচা নিষিদ্ধ হল বাংলায়। পরিবেশবান্ধব বাজির ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হলেও উৎসবের দিনে মাত্র ঘণ্টায় দুয়েকের জন্যই তা ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ নিয়ম মেনেই বাজি পোড়াতে হবে, কড়া নির্দেশ রাজ্যের। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মিলিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সবুজ অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একেবারেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি। নির্দেশ পালন না করলে দণ্ডনীয় অপরাধ রূপে গণ্য হবে। দীপাবলি এবং ছট পুজোতে দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ আতশবাজি, জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। দীপাবলি উৎসবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ বাজি। নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বড়দিন ও ইংরাজি নববর্ষে রাত ১১.৫৫ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিটের জন্য শুধুমাত্র সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে।
যদিও আইনের ফাঁক বুঝেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শব্দ বাজি ও পরিবেশ অবান্ধব বাজি বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। যার জন্য বিভিন্ন জেলায় অভিযানে নামে পুলিশ। আর গ্রেফতার হয়েছে একাধিক ব্যবসায়ী, বাজেয়াপ্ত হয়েছে লক্ষাধিক টাকার বাজি। সুপ্রিম রায়ের পড়েও কলকাতা হাইকোর্টে ফের বুধবার বাজি বন্ধের জন্য আর্জি জানায় মামলাকারীরা। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, এত তাড়াতাড়ি নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না। তবে নিয়ম মেনে সবুজ বাজি পোড়াতে ও বিক্রিতে নজর দিতে হবে রাজ্যকে।