নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ নিয়ে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্য সরকারের কাছে নথি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। কল্যাণী এইমস হাসপাতালে বিজেপি বিধায়ক ও মন্ত্রীরা প্রভাব খাটিয়ে কোনও নিয়ম না মেনে নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। সিআইডির সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তদন্তে কী তথ্য উঠে এসেছে তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, কল্যাণী এইমস হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কী তথ্য উঠে এসেছে তা আদালতকে জানাতে হবে। আগামী ১৬ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। সেদিনই সব তথ্য দিতে হবে আদালতকে।
বৃহস্পিতবার কলকাতা হাইকোর্টে কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রভাব খাটিয়ে ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীর অভিযোগ, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানার নিয়োগে হাত থাকতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। উল্লেখ্য এই মামলায় ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিআইডি সূত্রে দাবি, মৈত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে তথ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কল্যাণীর এইমসে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির ৪ নেতা নিয়োগ করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
