নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার রাজনীতির আকাশ অন্ধকার, জ্বলজ্বল করতে থাকা বড় নক্ষত্রের পতন হয়েছে। কালীপুজোর দিন প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা তথা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হয় রাজ্যের তরফে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষ হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য। ভাইপো অঙ্কিত মুখার্জী মুখাগ্নি করেছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহতে। যেহেতু সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়ের নিজের কোনও সন্তান নেই তাই মুখাগ্নি করেন ভাইপো। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। শেষ হয়ে গেল এক রসবোধ সম্পন্ন, দক্ষ প্রশাসক মানুষের জীবন।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবন, বিধায়ক ও মন্ত্রীত্ব সব ছেড়ে রেখেই ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ সারাদিন তাঁর মরদেহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। শেষে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগে দেওয়া হয় গান স্যালুট। রবীন্দ্রসদনে সকাল ১০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত শায়িত ছিল পঞ্চায়েতমন্ত্রীর মরদেহ। শ্রদ্ধা জানিয়ে ছিলেন বহু মানুষ। বিধায়ক, বিরোধী দলের নেতারা, মন্ত্রী, তারকা থেকে সাধারণ মানুষ। তারপরেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কর্মক্ষেত্র বিধানসভায়। সেখানে আধঘণ্টা শায়িত থাকে মরদেহ। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সমস্ত উপস্থিত বিধায়করা। তারপরেই একডালিয়াতে নিজের বাড়ি হয়েছে তাঁর হাতে গড়া ক্লাবে যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ।
সেখান থেকেই পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে জানাতে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছায় বহু মানুষ ও সতীর্থরা।