নিজস্ব প্রতিনিধি: ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কলকাতা পৌর সংস্থায় তৈরি করা হল গ্রন্থাগার। স্বাস্থ্য চিকিৎসক সম্পর্কিত এই গ্রন্থাগারের শুভ সূচনা করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ(Deputy Mayor Atin Ghosh)। এছাড়া থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা জন্য কলকাতা পৌর সংস্থার(KMC) স্বাস্থ্য কর্মীদের আধুনিক কর্মশালা দেবে ইকো ইন্ডিয়া। বিনা মূল্যে কলকাতার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ট্রেনিং দেবে।
এদিন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ দাবি করেন যে এখন পর্যন্ত কলকাতায় একজন শিশু অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়নি। তিনি বলেন, কলকাতা পৌর সংস্থার গর্ভিত বোধ করছে যে মডেল চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই প্রথম কোনো লাইব্রেরী কলকাতা পৌর সংস্থায় করা হয়েছে । এদিন ইকো ইন্ডিয়ার অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ ভাল্লা জানান যে, স্বাস্থ্য কর্মীদের ট্রেনিং উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা আমাদের লক্ষ্য। যারা সাধারণ মানুষের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। তাই ইকো ইন্ডিয়া সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কল্যাণের জন্য কাজ করছে। কলকাতা পৌর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা গর্বিত বলে জানান সন্দীপ ভল্লা। তিনি জানান যে, থ্যালাসেমিয়াকে অনেক সময় অবজ্ঞা করা হয়। এদিন কলকাতা পৌর সংস্থার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী জানান, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রক্তের হিমোগ্লোবিন সংক্রান্ত অসুখের বিষয়ে সচেতনতা ও চিকিৎসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি জানান, আগামী ৬ মাসের মধ্যে একটা পাইলট প্রজেক্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তার জন্য আগামী তিন বছরের জন্য চিকিৎসক দের প্রশিক্ষিত করা হবে বলে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী। এদিন অনুষ্ঠানের শেষে উন্নতমানের মেডিক্যাল লাইব্রেরির (Medical Libary)শুভ সূচনা করেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ অতিথিগণ।১৪৪ টি ওয়ার্ডে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা ব্যাবস্থা করা হবে। তার জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৫০ জন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। তিনি জানান যে , থ্যালাসেমিয়া টেস্ট বাধ্যতামূলক করা উচিত। কিন্তু অনেক সময় প্রচার চালানোর পর ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম। ফলে মানুষ টেস্ট করতে ভয় পায় বলে জানান অতীন ঘোষ। মানুষকে এর প্রতি সচেতন করার জন্যই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। অতীন ঘোষ জানান কলকাতায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সংখ্যা খুবই কম ।মাত্র ৪ শতাংশ বলে জানান অতীন ঘোষ।