নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলের সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এসএসসিতে গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগের মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য গেলে সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতিরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের উপর দু’সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি’র গ্রুপ-ডি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই মর্মেই ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল ও অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এরই সঙ্গে এসএসসিতে দুর্নীতির তদন্তে ডিভিশন বেঞ্চের গড়া কমিটি ভেঙে দিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
যার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানালে এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিশন বেঞ্চের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ চলাকালীন সিবিআই অনুসন্ধান করতে পারবে না, সিঙ্গেল বেঞ্চ যে ৫৭৩ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বরখাস্ত করেছিল তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি রইল। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালে রাজ্যের স্কুলে গ্রুপ-ডি বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ৫৭৩ জনের গ্রুপ ডির তালিকা বাতিল বলে গণ্য হবে। যার ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চে গেলে সেই নির্দেশের উপরে ১ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ জারি করেছিলেন। সেই নির্দেশের উপরেও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে ২ সপ্তাহের জন্য।