নিজস্ব প্রতিনিধি: আত্মীয়ের বিয়ে। তাই মেহেন্দি করাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের নাবালিকা। সেই মেহেন্দি করার পরেই মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছিল সুনীতা ঝাওয়ারকে। বছর ষোলোর নাবালিকার প্রাণ দান করল কলকাতা (KOLKATA)। কলকাতার মুকুন্দদপুরের এই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।
জানা গিয়েছে, মেহেন্দি করে নাবালিকা গিয়েছিল এক আত্মীয়ের বাড়িতে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। সেখানে খাওয়ার পর পেট খারাপ হয় নাবালিকার। একাধিকবার পাতলা জলের মত মলত্যাগ করেছিল নাবালিকা। ফলে শরীরে কমে গিয়েছিল জল। এরপরেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে। অভিযোগ, গাঢ় মেহেন্দির জন্য শিরা কোনটা তা বুঝতে পারেননি চিকিৎসক। স্যালাইন দিতে গিয়ে সূচ ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন ধমনীতে। এরপরেই রক্ত উঠতে শুরু করে। রক্ত জমাট বাঁধে। জানা গিয়েছে, হাতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। এরপরেই ওই নাবালিকাকে সোজা নিয়ে আসা হয় এই রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়। কলকাতার মুকুন্দুপুরের আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক (DOCTOR) অনির্বাণ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, পচন ধরার ফলে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে কনুই থেকে হাত বাদ দিতে হত। তা না করে চেষ্টা করা হয়েছিল হাতে সাড়া ফেরানোর। আর তাতেই এসেছিল সাফল্য। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধমনী ও শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, হাতের একাধিক কোষের মৃত্যুর ফলেই হয়েছিল ঘা, ধরেছিল পচন। বিঘ্নিত হচ্ছিল রক্ত চলাচল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিস্থাপন করা হয় শিরা ও ধমনীর। এর ফলে রক্ত চলাচল ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বর্তমানে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। মেয়ের জীবন ফেরায় চিকিৎসককে কুর্ণিশ জানিয়েছেন নাবালিকা ও তাঁর পরিবার।