নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশ মিউজিয়াম 113, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোড, কলকাতা – 700009 থেকে আলিপুর মিউজিয়ামে স্থানান্তরিত করা হল। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সেল-4, এখন আলিপুর মিউজিয়াম, একটি কালানুক্রমিকভাবে পুলিশ মিউজিয়ামের প্রত্নবস্তুগুলির সাথে সংস্কার করার জন্য নির্বাচন করা হয়। বেয়নেট, বন্দুক এবং রাইফেলের ইতিহাসের সাথে স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে বাংলায় সময়ভিত্তিক বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন এখন থেকে এখানে দেখা যাবে।শনিবার আলিপুর মিউজিয়ামের অভ্যন্তরে নতুন পরিকল্পিত পুলিশ মিউজিয়াম বিভাগের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim), এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনীত গোয়েল, পুলিশ কমিশনার, কলকাতা পুলিশ, দেবলীনা বিশ্বাস, কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান, কেএমসি, শ্রী দেবাশিস সেন, এমডি ।
আলিপুর জেলের সেল-4-এর চৌদ্দটি কক্ষ সংস্কার করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য বিপ্লবীদের ব্যবহৃত রিভলভার, বোমা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্রত্নবস্তু সেখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। ডি.এইচ. কিংসফোর্ডের কাছে পাঠানো বই বোমা, দীনেশ গুপ্তের ব্যবহৃত পিস্তল, স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পিস্তল, রিভলভার, বোমাগুলি সাধারণ দেখার জন্য কাঁচের কেসে প্রদর্শন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মামলার ইতিহাস যেমন আলিপুর ষড়যন্ত্র 1908, ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা 1910, ঢাকা অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সাথে, রাশ বিহারী বসুর 1912 সালের ক্যাপিটাল ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত থাকা, যুগান্তর গ্রুপের কার্যকলাপ 1916-1917 এর প্রধান হাইলাইট থাকছে সেখানে। এর জন্য আলাদা কোনো টিকিট কিনতে হবে না।
আলিপুর মিউজিয়ামে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা খোলা থাকবে। প্রতি সপ্তাহে সোমবার ছাড়া সব দিন খোলা থাকবে মিউজিয়াম। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোগুলি প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং প্রতি সপ্তাহান্তে (শুক্র থেকে রবিবার) সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে। 23শে সেপ্টেম্বর 2012-এ খোলার পর থেকে এখনও পর্যন্ত 2,91,994 জন দর্শক আলিপুর মিউজিয়াম পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন আলিপুরে পুলিশ মিউজিয়ামে স্থানান্তরিত করা হল । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল(CP) বিনীত গোয়াল। এই পুরো উদ্যোগ টাই নেওয়া হয়েছে হিডকোর তত্বাবধানে।
এদিন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়াল তাঁর ভাষণে বলেন, 1990 তে প্রথম ভাবা হয়, এখন থেকে অনেক বেশি লোক দেখতে পারবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আর্টিফ্যাকট এখানে রাখা থাকবে।
23 সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এই মিউজিয়াম(Meuseum) দেখতে ইতিমধ্যে ২লক্ষ ৯১ হাজার দর্শক এসেছে। ধীরে ধীরে আরো মানুষের আগমন হবে।
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম জানান ,আলিপুরের হেরিটেজ জেল নষ্ট করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন হেরিটেজ প্রপার্টি রেষ্টরেশন করার। হিডকোকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ৭০০ গাড়ি ময়লা বের করে আবারও সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুরনো স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছেন। ক্ষুদিরাম, চিত্তরঞ্জন ,নেতাজি র মত বহু মানুষের অস্তিত্ব আছে। পুরো পুলিশ মিউজিয়াম এখানে এবার পাকাপাকি ভাবে স্থানান্তরিত করা হল বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।