এই মুহূর্তে




সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বামেদের, তবুও এগোচ্ছেন বাবুল




নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল যে জিততে চলেছে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু যে ফলাফল সামনে উঠে আসছে তা কিছুটা হলেও কিন্তু উদ্বেগ ছড়িয়েছে শাসক শিবিরে। কেননা গণনায় উঠে আসা ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে এলাকার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে বেশ ভালই থাবা বসিয়েছে বাম প্রার্থী। কেননা গত ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় যে পুরনির্বাচন হয়েছিল সেই ভোটের তুলনায় দেখা যাচ্ছে বালিগঞ্জে বামেদের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। তুলনায় তৃণমূলের ভোট প্রাপ্তির হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। যদিও এই হার একটা ট্রেন্ড মাত্র। তবুও এই ঘটনা কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ ফেলেছে শাসকদলের। যদিও ঘাসফুল শিবিরের দাবি, উপনির্বাচনে কম সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন। তাই তাঁদের ভোট প্রাপ্তির হার কমেছে। কিন্তু তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সংখ্যালঘু সমাজের সমর্থন অটুট আছে। 

শনিবার সকাল ৮টা থেকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গণনার কাজ শুরু হয়েছে। কার্যত প্রথম রাউন্ড থেকেই সেখানে লিড তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। এদিন ওই কেন্দ্রে মোট ১৯ রাউন্ড গণনা হবে। ১৩ রাউন্ড গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে বাবুল ৯৩৪৪ ভোটে এগিয়ে আছেন। বাকি ৬ রাউন্ড গণনায় অঘটন কিছু ঘটে যাবে এমন দাবি কেউই করছেন না। তবে তৃণমূলকে অবশ্যই ভাবাচ্ছে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক। বামেদের প্রার্থী কিছুটা হলেও হেভিওয়েট। সেই সঙ্গে তিনি মহিলা ও সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধি। বাবুর তাঁর তুলনায় তারলা প্রার্থী হলেও তিনি সংখ্যালঘু নন। আর এই জায়গাতেই বামেরা সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ভুললে চলবে না বালিগঞ্জে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। বিগত প্রায় সব নির্বাচনেই সেই সংখ্যালঘু ভোট গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। এই প্রথম তার একটা বড় অংশই বাম প্রার্থী সায়্রা শাহ হালিমের ঝুলিতে গিয়েছে। প্রসঙ্গত সায়রা বলিউডের অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের নিজের ভাইঝি ও রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের পুত্রবধূ তথা বাম নেতা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের স্ত্রী। তাই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক সায়রার পক্ষেই যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

একই সঙ্গে বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে কিছুটা হলেও ‘নো ভোট ফর বাবুল’ শীর্ষক প্রচার প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাবুল বিজেপিতে থাকাকালীন সময়ে সংখ্যালঘু সমাজকে যেভাবে আক্রমণ করেছেন তা সংখ্যালঘু সমাজের মানুষ ভাল ভাবনে মেনে নিতে পারেননি। এখন বাবুল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হলেও সংখ্যালঘু সমাজের মানুষ যে তাঁকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি সেটা ফলাফলের ট্রেন্ডই বলে দিচ্ছে। বাবুলকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সংখ্যালঘু সমাজের একাংশ ‘নো ভোট ফর বাবুল’ শীর্ষক প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই প্রচার যে বেশ কাজে দিয়েছে সেটা ফলাফলের ট্রেন্ডই বলে দিচ্ছে। ওই প্রচারের জেরেই বাম প্রার্থী দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সংখ্যালঘু ভোট পেয়ে।

ডিসেম্বরে কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্তি ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। বালিগঞ্জের ট্রেন্ড কিন্তু বলছে বাম প্রার্থী সেখানে এবার প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন। তবে এই নির্বাচনের ফলাফল দেখে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না, সেটা উচিতও নয়। তবে বিজেপিতে থেকে সংখ্যালঘু সমাজকে গাল পাড়ব আর পরে ফুল বদলে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোট চাইব, এই দ্বিচারিতা মানুষ যে মেনে নেবে না সেটা কিন্তু স্পষ্ট হচ্ছে। তাই বিজেপিতে এখনও যে সব নেতা সংখ্যালঘু সমাজকে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন তাঁরা আগামি দিনে তৃণমূলে আসার পরিকল্পনা করে থাকলে বালিগঞ্জের ফলাফল অবশ্যই মাথায় রাখবেন, এমনটাই আশা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘এক দেশ, এক ভোট মানব না’ ফের হুঙ্কার মমতার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলেও মানিকতলা বাজারে বেশি দামে বিকোচ্ছে কাঁচামাল

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নতুন তারিখ কবে?

লাগামছাড়া গতিতে ‘রেড অ্যালার্ট’, রেষারেষি রুখতে ‘চাবিকাঠি’ থাকছে পরিবহণ দফতরের হাতে

সকালে পারদ নামল ১৩.৮ ডিগ্রিতে, আজ মরসুমের শীতলতম দিন

বৈঠকে বনসলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়করা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর