নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চে(Constitution Bench) চলছে সমলিঙ্গের বিয়ের(Same Sex Marriage) আর্জিতে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানি। আর শুনানির গতি দেখে এবং সাংবিধানিক বেঞ্চের নানা পর্যবেক্ষণ দেখে এখন দেশের অনেকেই মনে করছেন ২০১৮ সালের পরে আরও এক ঐতিহাসিক রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ঠিক এই রকম অবস্থায় বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে নিজের অভিমত জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই অভিমতকে এদিন স্বাগত জানিয়েছে বাংলার রামধনু পরিবার(LGBTQ)।
আরও পড়ুন দ্রুত ১৮৫২ কোটি টাকা মেটান, নবান্নকে শাহি বার্তা
কী বলেছেন অভিষেক? বৃহস্পতিবার অভিষেক জানিয়েছেন, ‘সমলিঙ্গ বিয়েতে আমার কোনও আপত্তি নেই। ভালবাসার কোনও সীমা থাকা উচিত নয়। পছন্দের জীবনসঙ্গী বাছার অধিকার সবার আছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। আমার মতে, প্রত্যেকেরই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। ভালবাসার কোনও ধর্ম হয় না, ভালবাসার কোনও সীমা থাকে না, কোনও গণ্ডি থাকে না। তাই আমি যদি নিজের মনের মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতে চাই, সেটার অধিকার থাকা উচিত। বিয়ের ক্ষেত্রে লিঙ্গ কোনও বাধা হতে পারে না। আমি যদি পুরুষ হয়ে কোনও পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হই, আবার আমি যদি মহিলা হয়ে কোনও মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হই, সেটা নিয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার কারও নেই। আমি মনে করি, প্রত্যেকেরই ভালোবাসার অধিকার আছে, নিজেদের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। আমি আশাবাদী, আমরা যে গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং যে বৈচিত্র্যে গর্ববোধ করি, সেটার পক্ষে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।’
আরও পড়ুন উনিশের ভোটে জেতার মূলে ভিভিপ্যাট কারচুপি, অস্বীকার কমিশনের
অভিষেকের এই মন্তব্যের জেরে এখন বেশ খুশি বাংলার রামধনু পরিবার। কেননা সকলের একটা আশঙ্কা ছিল যে সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়েতে ছাড়পত্র দিলেও রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে কী অবস্থান নেবে। দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ে নিজের ইচ্ছায় এই রাজ্যে বিয়ে করে থাকতে পারবে তো! নাকি তাঁদের প্রশাসনের রক্তচক্ষুর মুক্লহে পড়তে হবে। কেননা ২০১৮ সালে সুপ্রিম রায়ে সমকামিতা অপরাধের তকমা মুক্ত হওয়ার পরেও এই বাংলার বুকে, কলকাতার বুকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে সমকামী যুবক বা যুবতীদের পুলিশের বিদ্বেষের মুখে পড়তে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে সেই সব ঘটনা ঘটনার পরে পুলিশ বা প্রশাসনের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তাই একটা আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কাই কার্যত দূরে চলে গেল অভিষের বার্তায়।