নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই রবিবার, তার উপর পঞ্চমী। ফলে এদিনই কার্যত পুজোর উদ্বোধনের শেষ দিন। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিকেল থেকেই ছিল না তিলমাত্র সময়। কারণ এই বছরে তিনিই একমাত্র স্টার যার হাতেই একের পর এক উদ্বোধিত হচ্ছে পুজো মণ্ডপের। রবিবারও তিনি কলকাতার কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করলেন। পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্য়মে রাজ্যের ২০ জেলার মোট ২৩৭টি পুজোর সূচনা করলেন। তাঁর হাতে পুজোর সূচনা হওয়ায় খুশির জোয়ারে ভাসছেন জেলার মানুষজন।
অপরদিকে, এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই হাজির হয়ে যান চেতলার নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে। প্রবীন নাগরিকদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন এবং তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং ফিরহাদ হাকিমও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে খুশিতে আপ্লুত প্রবীন নাগরিকরাও। তাঁরাও জানিয়েছেন, বছরের অন্যান্য সময়ে এখানকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পঞ্চমীর বিকেলে তাঁকে কাছে পেয়ে মন ভরে গেল। নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার আগেই তিনি আলিপুর বডিগার্ড লাইনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকেই তিনি রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজ্য়ের ২৩৭টি পুজোর উদ্বোধন করলেন এদিন।
পঞ্চমীর বিকেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫টি দূর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে আসানসোলের তিনটি ও বাকি দুটো দূর্গাপুরের পুজো। অপরদিকে রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দশটি ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাট শহরের ঐতিহ্যবাহী কচি কলা একাডেমির পুজোও উদ্বোধন করেন তিনি। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। এমনকি সেখান থেকে একটি নেপালি পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা।