নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ১৪ মার্চ। ২০০৭ সালে এই দিনেই ‘চটি পরা’ পুলিশের(Police) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলা তথা ভারতের ভূমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামের(Nandigram) ১৪জন গ্রামবাসী। বাম জমানায় রাষ্ট্রীয় মদতে সংগঠিত সেই হামলা কার্যত বাংলা থেকে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছিল। এদিন সেই দিবসেই টুইট(Tweet) করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এমনিতেই রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দিনটিকে ‘কৃষক দিবস’(Farmers Day) হিসাবে পালন করে তৃণমূল তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর টুইটে নন্দীগ্রামের সেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক জীবনে কৃষকদের ভূমিকা যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়নে কী কী করেছে তাও তুলে ধরেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘প্রতি বছর ১৪ মার্চকে কৃষক দিবস হিসাবে আমরা স্মরণ করি। নন্দীগ্রামের সেই সাহসী গ্রামবাসীকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে। এই দিনে তাঁদের এবং গোটা বিশ্বের কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা। কৃষকরা আমাদের গর্ব। আরও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সমস্তরকম সহায়তা করছি আমরা। সুলভে কৃষকদের জন্য কৃষিকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। আর্থিকভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। পেনশনের ব্যবস্থা এবং মৃত্যুর পর কৃষক পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করা হচ্ছে। আজ পশ্চিমবঙ্গ কৃষিকাজে প্রথম সারির রাজ্যগুলির তালিকায় ওপরের দিকেই স্থান করে নিয়েছে। তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এ রাজ্যের কৃষকদের রোজগার। আমার সকল কৃষক ভাই, বোন এবং তাঁদের পরিবারকে কৃষক দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।’
এদিন নন্দীগ্রামে বেশ কিছু কর্মসূচী রয়েছে তৃণমূলের। সেখানে তালপাটি খাল সংলগ্ন ভাঙ্গাবেড়ায় শহিদ মঞ্চ তৈরি করেছে তৃণমূল। সেখানে দলের কর্মসূচীতে এদিন যোগ দেবেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেন, রাজ্য নেতৃত্ব পূর্ণেন্দু বসু ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তবে সেই কর্মসূচীর আগেই এদিন সকালে তৃণমূলের তরফে গোকুলনগরের মালপল্লিতে শহিদবেদিতে মাল্যদান করা হবে। পরে গৌরাঙ্গ মূর্তিতে হরিকীর্তনের সূচনা করবেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে ১৪ জন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ গিয়েছে পুলিশের গুলিতে। সেদিনের সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আর পুলিশের গুলিচালানো নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে ১৪ বছরে পরেও। তবে এদিনের দলের কোনও কর্মসূচীতেই দলের পতাকা ব্যবহার করা হবে না বলেই জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।