নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের আরও এক মানবিক পদক্ষেপ সামনে এল। এবার থেকে রাজ্যের মূক ও বধির(Deaf and Dump) শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার শিশুপ্রতি ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহণ করবে। তার মধ্যে থাকবে ৬ লক্ষ টাকার কৃত্রিম অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া যন্ত্র প্রতিস্থাপনের খরচাও। এতদিন এই খরচ দিত কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান ছিল অনেক কম। দেখা যেত এই সুবিধা নেওয়ার জন্য বছরে যদি ১০০টি শিশুর অভিভাবক আবেদন করত তাহলে মাত্র ৫টি শিশু হয়তো সেই সুবিধা পেত। কিন্তু এবার থেকে যারা আবেদন করবেন তাঁরা সকলেই এই সুযোগ পাবেন। রাজ্যের ২৭টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই সুবিধা মিলবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। জন্মগর বধিরতা থাকলে শিশুরা কথা বলতে শেখে না। কিন্তু এবার থেকে বিনামূল্যে ককলিয়া যন্ত্র পেয়ে গেলে বধিরতার সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
বাংলায় জন্মগত ভাবে মূক ও বধির শিশুদের সংখ্যা কিছু কম নয়। প্রতি বছরই তাই শতাধিক শিশুর অভিভাবকেরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানান কৃত্রিম অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া যন্ত্রের জন্য। কিন্তু এতদিন ধরে সেই যন্ত্রের যোগান দিত কেন্দ্র সরকার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই যোগান ছিল খুবই কম। কার্যত একটি যন্ত্রের জন্যই মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষা করতে হত। এই অবস্থায় এখন রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে প্রতিটি মূক ও বধির শিশুর জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে কৃত্রিম অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া যন্ত্রের ব্যবস্থা তো করেই দেবে সেই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচও বহন করবে। যদিও সেই খরচের মধ্যে ককলিয়া যন্ত্রের ৬ লক্ষ টাকাও ধরা থাকবে। অর্থাৎ ককলিয়া যন্ত্র বাদে চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার প্রতিটি মূক ও বধির শিশুদের জন্য ৯ থেকে ১১ লক্ষ টাকা খরচ করবে। স্বাস্থ্যভবনের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস দেবে ককলিয়া যন্ত্র আর রাজ্যের যে কোনও সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হবে চিকিৎসা।