নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় এখনও ঢের বাকি। তবুও ২০২৪ এর সাধারন নির্বাচনে(General Election) কী ফল হতে চলেছে তা সোমবার কলকাতার(Kolkata) ধর্মতলার বুকে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। ২০১৪ ও ২০১৯ এর ভোটে যতই বিজেপি(BJP) দেশ শাসনের রায় পেয়ে থাকুক না কেন, ২০২৪ সালে যে তাঁরা আর সেই রায় ফিরে পাবে না তা এদিন জোর গলায় জানিয়ে দিলেন বাংলা তথা জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর সেই সুর টেনেই এদিন তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন গেরুয়া ব্রিগেডকে। সাফ জানিয়েছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেখবেন শুধু গোল্লা পাবে আর বসে বসে রসগোল্লা খাবে।’
রবিবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের(TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। কিন্তু ওইদিন ছুটি থাকায় এদিন অর্থাৎ সোমবার সেই প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়। সেই সভাতেই এদিন যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের যুব থেকে বর্ষীয়ান নেতানেত্রীরা। ছিলেন সায়নী ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই মমতা নিশানা বানালেন গেরুয়া ব্রিগেডকে। সাফ বললেন, ‘পার্থ-কেষ্ট চোর কি না, তা আইন বলবে। কিন্তু এসব কী চলছে? ববি চোর, অভিষেক চোর, মমতা চোর? সব কিছুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে টানা! আর বিজেপির সবাই সাধু? একটা সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা করছে। রাজনীতি না করলে, এই চেয়ারে না থাকলে বলতাম ওদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলুন। বিজেপি মিডিয়াকে যা বলছে ওরা তাই শুনছে। কোনও একটা অবিজেপি শাসিত সরকারের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন অবস্থা। সারা ভারতে কর্মসংস্থান যখন ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, বাংলায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এরপরও ওদের লজ্জা হয় না। লজ্জা থাকা উচিত বিজেপির।’
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘৩ দিনের নাকি চিন্তন শিবির হচ্ছে। কোটি-কোটি টাকা খরচে বৈদিক ভিলেজে প্রশিক্ষণ শিবির করছে বিজেপি। ওটা কি ক্রন্দন শিবির নাকি মন্থন শিবির? নাকি বিজেপির বৃন্দাবন। এত টাকা কোথায় পাচ্ছে? মহারাষ্ট্রের সরকার ফেলেছে। ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার চেষ্টা করছিল। আমরা ধরে ফেলেছি। শাহেনশারা এত টাকা পেল কোথায়? স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী হেরে গিয়েছিলেন, রাজীব গান্ধী বিপুল সংখ্যক সিট নিয়েও হেরে গিয়েছিলেন। এই বিজেপিও হারবে, শুধু দেখতে থাকুন। বিহারে হেরেছে। আরও তিন-চারটে রাজ্যে হারবে। নির্বাচন হোক, দেখতে পাবেন। ২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেখবেন শুধু গোল্লা পাবে আর বসে বসে রসগোল্লা খাবে। দিল্লির লড়াই আমার শেষ লড়াই। আমার মাথা নোওয়ানো যাবে না। কেন গ্রেফতার করা হল কেষ্টকে? কেষ্টর মতো সাহায্যকারী ছেলে হয় না। পার্থ কী করেছে আমি জানি না। সেটা বিচারাধীন, তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। চক্রান্ত চলছে। তৃণমূলের মনোবলকে ভেঙে দিতেই ইডি, সিবিআই রেড চলছে। ইউটিউব খুললেই দেখছি আমার নামে গালি দিচ্ছে। আমি তাদের উৎখাত করেই কাল তালি দেব।’