নিজস্ব প্রতিনিধি: কন্নড়ভূম যে বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে সে নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। আর বিজেপির এই হার চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি কন্নড়ভূমের মানুষদের কাছে সরাসরি আর্জি রেখেছিলেন যে তাঁরা যেন পদ্মশিবিরকে ভোট না দেন। তাঁর সেই আর্জি শুনেছেন কর্ণাটকের মানুষ। এই আবহেই সামনে এসেছে আগামী ২৭মে দিল্লি(Delhi) যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের(Neeti Aayog) পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে রাজধানীতে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ওই একই সময়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের(Nitish Kumar) আহ্বানে বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতাদের বৈঠক ডাকা হতে পারে। ওই বৈঠকেও যোগ দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। এমনিতেই মমতাকে ঘিরে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মোদি ও বিজেপি(BJP) বিরোধী জোট ক্রমশ জমাট বাঁধছে। এই অবস্থায় কর্ণাটকে বিজেপির হারের পরে মমতা দিল্লি গেলে বা বিরোধী বৈঠকে যোগ দিলে তিনিই যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবেন এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন মমতার আর্থসামাজিক প্রকল্প দিয়েছে মহিলাদের আত্মনির্ভরতাও
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন নীতীশ মমতার সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়ার পর থেকে দুইয়ের মধ্যে নিরন্তর যোগাযোগ রয়েছে। কার্যত মমতার পরামর্শ মেনেই নীতীশ বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে-ঘুরে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওই সমস্ত আলোচনায় তিনি বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তাব রাখছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ২৮ মে দিল্লিতে বিরোধী শিবিরের বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকে মমতা-নীতীশের পাশাপাশি থাকতে পারেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে কংগ্রেস সেই বৈঠকে যোগ দেবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের একটা দূরত্ব এখনও আছে। তবে তৃণমূল সূত্রের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত বিরোধী ঐক্যের সমন্বয়কারী হিসেবে নীতীশ কুমারের সঙ্গে তৃণমূলনেত্রীর কোনও সমস্যা নেই। বরং নীতীশ মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এগোচ্ছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি।