নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাইমারি (PRIMARY) নিয়োগ দুর্ণীতি বিতর্কে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই জেরা করতে চেয়ে তলব করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মাণিক ভট্টাচার্যকে। তলব করা হয়েছিল পর্ষদের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচীকেও। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁদের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৬৯ জনের চাকরি হয়েছে বেআইনি ভাবে।
খবর লেখা পর্যন্ত তাঁদের জেরা করা হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। এখনও চলছে জেরা। ২০১৭ সালে প্রশ্নভুল মামলায় ১ নম্বর বাড়ানো হয়েছিল ২৬৯ জনের। পরিক্ষার্থী ছিলেন ২৩ লক্ষ। সোমবার মানিক ভট্টাচার্য এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচী হাজিরা হওয়ার পর তাঁদের জেরা করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আবারও দুর্নীতির ঘটনায় বড়সড় ধাক্কা দিল কলকাতা হাইকোর্ট (KOLKATA HIGH COURT)। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ২০১৭ সালে যে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয় তা এদিন বেআইনি বলে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই দ্বিতীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৬৯জনকে এদিন চাকরি থেকে বরখাস্ত করল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে ওই গোটা ঘটনায় তদন্ত করবে সিবিআই। এদিনই বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরু করবে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রয়োজনে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার কথাও বলেন বিচারপতি। ইতিমধ্যেই এই ২৬৯ জনের বিদ্যালয়ে প্রবেশ এবং বেতন বন্ধ করা হয়েছে।