নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে আসা হয়েছে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আদালতের নির্দেশে তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে। রুটিন মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার দিনেও তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে আছেন ইডি হেফাজতে। তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে। যদিও ইডি’র দাবি তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গতকাল কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানো হয় ‘মানিক ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত বিভাস অধিকারী এবং তাপস মণ্ডলের বাড়ি ও অফিসে। ইডি’র দাবি, মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেই এই সমস্ত জায়গার কথা জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (MANIK BHATTYACHARYA) ১০ অক্টোবর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রাত ১টা নাগাদ মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। মূলত জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করা এবং বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন।
ইডি’র দাবি, ২টি সন্দেহজনক চ্যাটবক্সের (DD, RK) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে মানিকের মোবাইল থেকে। উদ্ধার করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। আরও দাবি, মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে মানিক পুত্রের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের। চুক্তি ছিল, ৫৩০ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করবে এই সংস্থা। প্রতিষ্ঠান পিছু ৫০ হাজার করে টাকা নেয় মানিকপুত্রের কনসালটেন্সি সংস্থা। তবে ৪ বছরে কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়নি, দাবি ইডি’র। ইএসআই হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মানিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।