এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

১ মাসে জন্ম ৮০০ নবজাতকের, ১৯ শতাংশ ‘মা’ নাবালিকা

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, প্রদীপের নীচে আঁধার জমাট বাঁধে। সেই ছবিটাই এবার কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলার(Bengal) সুন্দরবন এলাকায়। কলকাতা(Kolkata) থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার অন্যতম মহকুমা সদর ক্যানিং। রেল ও সড়ক পথে সুযোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে কলকাতার সঙ্গে। সেই ক্যানিংয়ের মহকুমা হাসপাতালেই(Canning Sub Division Hospital) কিনা গত অগাস্ট মাসে ৮০০ শিশুর জন্ম হয়েছে। নিঃসন্দেহে রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতাল হিসাবে তা এক রেকর্ড। কিন্ত এটা যদি উজ্জ্বল ছবি হয় তাহলে উদ্বেগের ছবিও আছে। কেননা যারা মা হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৯ শতাংশই নাবালিকা। যা কার্যত বলে দিচ্ছে, কিশোরী বয়সে গর্ভবতী না হওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে বারবার প্রচার চালানো হলেও গ্রামীণ সুন্দরবন(Rural Sundarban) এলাকায় তার প্রতিফলন ঘটছে না সঠিকভাবে। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরাও। কম বয়সে বিয়ে হওয়ার ফলে এমন পরিণতি বলে মনে করছেন তাঁরা। এই প্রবণতা ঠেকাতে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা।  

গত বছর নভেম্বর মাসে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল প্রসবের চিকিৎসায় রেকর্ড গড়েছিল ৭০৯টি শিশুর জন্ম দিয়ে। এই আগস্টে সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। গত মাসে প্রায় ৮০০ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে ওই হাসপাতালে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি যে বাড়ছে এবং বাড়িতে শিশুদের প্রসবের হার যে কমছে এই পরিসংখ্যান তার প্রমাণ দিচ্ছে। এটা রীতিমত সাফল্যের ছবি। কিন্তু ওই একই মাসে প্রায় দেড়শোর মতো কিশোরী তাঁদের সন্তানও প্রসব করেছেন। তাঁদের কারও বয়স ১৮ বছরের নীচে। কারও কারও ১৪ থেকে ১৫ বছর মাত্র বয়স। সরকারি নিয়মানুযায়ী ২১ বছরের আগে সন্তান প্রসব করা যায় না। অথচ ক্যানিং, বাসন্তী সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় কম বয়সেই মা হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, কম বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়া মানে মা ও শিশুর নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। হতে পারে মৃত্যুও।

তারপরও কেন এমন পরিস্থিতি? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একাধিক পরিবার জানিয়েছে যে, বাড়ি থেকে বিয়ে না দিলেও ছেলে-মেয়েরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলছেন। আর তার এক বছরের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়ছে। এটা ঠেকানো কীভাবে যাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে। এদিকে নাবালক-নাবালিকাদের ডেকে কাউন্সেলিং করানো, কম বয়সে মা হলে কী কী সমস্যা হতে পারে, সেটা বুঝিয়ে বলা ইত্যাদি কর্মসূচিও চলছে। কিন্তু  কিশোরী বয়সে মা হওয়ার বিপদ সম্পর্কে জানিয়ে আরও জোরদার প্রচার দরকার বলেই মত প্রশাসনের পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ, আশীর্বাদ নিলেন, সেলফি তুললেন

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর