নিজস্ব প্রতিনিধি: মুকুল তুমি কার? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের বিধানসভা থেকে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে। যাতে কিছুটা হলেই বিরক্ত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনিও চাইছেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ ও পিএসি চেয়ারম্যানের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত সমাধান হোক। সেই মামলাতেই বুধবার বিধানসভায় শুনানি ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়ের আইনজীবী ও শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর আইনজীবী ও কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেখানেই মুকুল রায়ের আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। আমরা তার পক্ষে জবাব দিয়েছি। মুকুল রায় নিজেই বলেছেন যে, তিনি বিজেপিতে আছেন। সেটাও আমরা শুনানিতে তুলে ধরেছি।’
আগামী ২৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই মুকুল রায়ের বিজেপি বিধায়ক থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে স্পিকারকে দু’সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাই তৎপর হয়েছেন স্পিকার। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেক দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। আমিও শেষ করতে চাই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নেব।’ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগরে উত্তরে ভোটে দাঁড়ান। জিতেও যান মুকুল রায়। তারপরেই কিছুদিনের মধ্যে জার্সি বদলে নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূলে ফেরেন কাঁচরাপাড়ার নেতা। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান। যদিও তা না শুনে বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করেন স্পিকার। যার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
সেই মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট দু’দিন আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে স্পিকারকে দু’সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন। মুকুল তৃণমূলে ফিরলেও বিভিন্ন সময়ে পুরভোট কিংবা উপনির্বাচনে বিজেপির জয়ধ্ব্বনি করেন। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয় ওনার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের অভাব রয়েছে। মুকুল পুত্র দাবি করেন মায়ের শোকে বাবা এমন করছেন। যদিও মুকুল রায়ের বর্তমান অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিধায়ক পদ টিকে থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।