এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জনস্রোতের কাছে নবমীর রাতে হার মানল ভিলেন বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি: নবমীর দুপুর থেকেই অসুর হয়ে হাজির হয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু দাঁত মানতে নারাজ আপামর বাঙালি। ছাতা মাথায় দিয়েই এক মন্ডপ থেকে অপর মণ্ডপে ছুটে বেড়াচ্ছে আমজনতা। কারণ এই তিনটে দিন উপভোগ করতে একটি বছর অপেক্ষা করতে হয়। তাই কোন বাধাই মানতে নারাজ জনতা। তাই মহানগরীর রাজপথ থেকে অলিগলি সর্বত্র নবমীর বিকেল থেকেই বৃষ্টি থামতে জনস্রোতে ভাসলো। আজ সারারাত চলবে ঠাকুর দেখার পালা। দশমীর দিন ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) পরোক্ষ প্রভাব এ বাংলায় পড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই নবমীর শেষ লগ্নে বারওয়ারির চমক আর সাবেকিয়া আনার ছোঁয়া দেখতে চেতলা অগ্রণী থেকে বাগবাজার সার্বজনীন, সুরুচি সংঘ থেকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব সর্বত্র ছিল নজর কাড়া ভিড়। নবমীর দুপুর থেকে ওষুধ বৃষ্টির দরুন বাগবাজার সার্বজনীন থেকে অনেক বারোয়ারী পুজো কমিটির মন্ডপ চত্বরে জল হালকা জমে যায়। কিন্তু ডোন্ট কেয়ার আমজনতার। নতুন জামা কাপড় পড়ে হাতে থাকা মোবাইলে সেলফি তুলে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নবমীর রাতে জনজোয়ারে গা ভাসালেন তারা।

চেতলা অগ্রণী ক্লাব থেকে শুরু করে হাতিবাগান সার্বজনীন ,কলেজ স্কোয়ার, বেনিয়াটোলা সর্বজনীন,কুমারটুলি পার্ক, টালা প্রত্যয় সর্বত্র দুপুর থেকে বৃষ্টি থামতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতা পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক আর বিভিন্ন সংস্থার ভলেন্টিয়াররা নিরলস পরিশ্রম করে গিয়েছে। নবমীর দুপুর থেকেও কলকাতা পুলিশের ১৪ হাজার ফোর্স রাস্তায় নামে। চলবে ভোররাত পর্যন্ত ভিড় সামলানোর পালা। সন্ধ্যে থেকেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ,বিধান সরণি, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ ,রবীন্দ্র সরণি, টালিগঞ্জ ,গড়িয়াহাট, বিটি রোড সর্বোচ্চ গাড়ির গতি মন্তর হয়ে যায়। দুপুরে বৃষ্টি আর সন্ধ্যায় জনতার সুনামি স্বাভাবিক যানবাহনের গতিকে বাধা প্রাপ্ত করে। কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত মেট্রো স্টেশনগুলিতে বহু মানুষ আনাগোনা করছে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। বারবার গাড়ির গতি থামিয়ে তাই রাস্তা পারাপার করাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। থিম পুজো সাদি কা আনা সবকিছু দেখতেই হবে শেষ লগ্নে। রাত পোহালেই দশমী বিষাদের সুর বাজবে মন ভারাক্রান্ত হবে চলে যাবে না মামা, আবার একটি বছরের অপেক্ষা করতে হবে। তাই নবমীতে নেই কোন ফুরসৎ। আলো থিম প্রতিমা দেখতে তাই মন্ডপে মন্ডপে সঙ্গী করে মোবাইল হাতে নিয়ে বাঙালি তার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে যোগ দিল দলে দলে। লালবাজার কন্ট্রোলরুম মহানবমীর শেষ দিনে দুপুর থেকেই নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছিল। কারণ পুলিশ জানে শেষ দিনে জনতা একের পর এক ওভার বাউন্ডারি হাকাবে। তাই ভিড় সামলে যানবাহনের গতিকে যতটা সম্ভব গড়িয়ে নিয়ে গিয়ে শেষ দিনে কলকাতা পুলিশ নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে নেমে পড়েছে রাস্তায়। পিছিয়ে নেই বিধান নগর কমিশনারেট।

বিকেলে বৃষ্টি থামতেই ভিআইপি রোডে(VIP Road) যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মুখে হুইসেল নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে পুলিশ। যাতে শেষ বেলায় সমালোচনার মুখে আর পড়তে না হয়। কিন্তু দুপুরবেলায় ওষুধ বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক যানবাহনের গতি হারিয়েছিল ভিআইপি রোড। রাতে বৃষ্টি হলেও জনশ্রোত যে ভিআইপি রোডে ভাসবে তাতে নিশ্চিত লেকটাউন ট্রাফিক গার্ড। তাই শেষ দিনে যান শাসনে কোন ফাঁক ফুকর রাখতে নারাজ তারা। আর এই কদিনের ভীর থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী বছর আরো করা যান শাসনের পরিকল্পনা তৈরির কথা মাথায় রাখছে তারা। নবমীর বিকেলে নাকতলা উদয়ন সংঘ, যাদবপুর সন্তোষ পল্লীর পুজো মণ্ডপ, দমদম তরুণ সংঘ কিংবা বাগুইআটির(Baguiati) রেলপুকুর তারাও ভিড় টেনেছে যথেষ্ট। শিয়ালদহ লালগোলা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার তার ভিড়ের রেকর্ড নবমীর দিনও ধরে রাখল একইভাবে। নবমীর শেষ লগ্নে তাই আনন্দকে চেটেপুটে ভাগ করে নিয়ে বনেদি বাড়ির দালান থেকে বারোয়ারী পুজোর মণ্ডপ মাতোয়ারা হলো আমজনতার জনস্রোতে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া তৃতীয় দফায় রাজ্যে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ: আরিজ আফতাব

স্কুটিতে চেপে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ, জিয়াগঞ্জে সস্ত্রীক ভোট দিলেন অরিজিৎ

বঙ্গে দুর্যোগ চলবে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা, জলোচ্ছ্বাস বাড়বে

আদালত থেকে বেরোনোর মুখেই মেয়েকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন শেখ শাহজাহান

‘সত্যের জয় হয়েছে’, সুপ্রিম নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে টুইট অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর