নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা কাঁটায় আয় কমেছে। রাজ্যে চালু রয়েছে একাধিক সরকারি প্রকল্প। আয়ের উৎস শুধুই সুরা বিক্রিতে। এইমত অবস্থায় ফের একটা বিধিনিষেধ রাজ্যে ঘুরতে থাকা বাজারে ধাক্কা লাগাচ্ছে। তাই নবান্নের সমস্ত দফতরের খরচ কমাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতবছর অর্থাৎ ২০২১ জুন মাসে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। যাতে বলা হয়েছিল সরকারি কোনও দফতর যদি দামি গাড়ি কিংবা দামি টিভি কিনতে চায়, তাহলে অনুমতি নিতে হবে অর্থ দফতরের। সেই বিজ্ঞপ্তি ফের ফিরিয়ে আনল অর্থ দফতর। বর্তমানে রাজ্যে প্রশাসনের এই গুরুত্বপূর্ণ দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে। তাই এদিন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রত্যেক সরকারি দফতরের খরচ কমাতে।
শুধুমাত্র প্রয়োজন রয়েছে এমন বিষয়ে খরচ করতে হবে। তাও সেক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে অর্থ দফতরের। ২০২০ সাল থেকেই করোনার টানা ব্যাটিং-এ ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতি। লকডাউন, বিধিনিষেধ কাটিয়ে সুস্থ হচ্ছিল রাজ্য ঠিক তখনই ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত আয়ের রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে নবান্নের। তাই বাড়তি খরচ কমাতেই ফের পুরানো নির্দেশিকাই ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার। এরই সঙ্গে এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত মন্ত্রীদের এলাকাতে কাজ করতে বলেছেন। সাবধানতা অবলম্বন করেই কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন বেচারাম মান্না, রথীন ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি। ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি মন্ত্রীরা ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে।