এই মুহূর্তে




‘No Vote To TMC’, উপনির্বাচনে ডাক দিতে পারেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশন(ECI) বাংলার(Bengal) ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের(Bye Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেই নির্বাচন। যে ৬টি কেন্দ্রে সেই উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল – উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট, কোচবিহার জেলার সিতাই, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া ও নৈহাটি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট ছাড়া সব কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। মাদারিহাট গিয়েছিল বিজেপির দখলে। এবারে কিন্তু তৃণমূলের সামনে ৬-০ করার সুবর্ণ সুযোগ এসে হাজির হয়েছে। তবে সেই সুযোগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে আন্দোলনরত সিপিএমপন্থী ডাক্তাররা(CPIM Supporter Doctors)। তাঁরা এই উপনির্বাচনের আগে ডাক দিতে পারে, ‘No Vote To TMC’। যদিও তাতে বামেদের যে বিশেষ কিছু লাভ হবে তা কিন্তু নয়। বরঞ্চ বিজেপিও ভোটের আসরে নামবে কোমর বেঁধে। আর সেই সূত্রেই বাম-বিজেপির ভোট কাটাকুটিতে জয়ের মুখ দেখা সহজ হয়ে যাবে তৃণমূলের।

আরও পড়ুন, ‘ভোটের কার্নিভালে আসুন, জনতার দরবারে বিচার হোক’, চ্যালেঞ্জ ডাক কুণালের

আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক কলকাতার ধর্মতলায় রিলে অনশনে সামিল হয়েছেন। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন আবার সিনিয়র চিকিৎসকেরা। এদের দাবিদাওয়ার শেষ নেই। নিত্যদিন তাঁরা নিত্য নতুন দাবি সামনে আনছেন। যদিও তাঁদের দাবির অধিকাংশই মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও মূলত সিপিএমপন্থী কিছু সিনিয়র চিকিৎসকদের মদতে ও প্ররোচনায় গুটিকয় জুনিয়র চিকিৎসক অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই অনশন চালানোর নিট রেজাল্ট কী! যারা এখন রাজ্য সরকারকে বার্তা দিচ্ছেন, অবিলম্বে অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আদতে তাঁরা তো সব সিপিএমেরই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী। এদের কথায় রাজ্য সরকার কেন চলবে! তার থেকেও বড় কথা এখন অনেকেই মানছেন যে অতি বাম সক্রিয়তায় চিকিৎসকদের আন্দোলন আজ বিপথগামী ও কানা গলির মধ্যে বন্দী হয়ে গিয়েছে। বামেরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু জুনিয়র চিকিৎসককে অনশনে নামিয়ে দিচ্ছে। আসন্ন উপনির্বাচনে এরাই ডাক দেবে, ‘No Vote To TMC’। কিন্তু সেই ডাকে কয়জন সাড়া দেবে?

আরও পড়ুন, কৃষ্ণনগরে তরুনীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক বন্ধু ও তার বাবা-মা

বস্তুত এবারের উপনির্বাচনে যে ৬টি আসনে ভোট হচ্ছে সেখানে কোন দল কত মার্জিনে একুশের ভোটে জিতেছিল সেটা দেখলেই ফলাফল অনুমান করে নেওয়া যাবে। প্রথমেই আসি মাদারিহাটের কথায়। একুশের ভোটে বিজেপি এই আসনে পেয়েছিল ৯০,৭১৮ ভোট আর তৃণমূল পেয়েছিল ৬১,০৩৩ ভোট। প্রায় ৩০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ভুললে চলবে না বাংলায় বিজেপির উত্থানই হয়েছে বাম ভোট ভাঙিয়ে। সেই বাম ভোট এবার আর জি কর আন্দোলনের জেরে বাম ঘরে ফিরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ মাদারিহাটের ৩০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকা বিজেপিকে পড়তে হবে বাম থাবার সামনে। এমনিতেই উপনির্বাচনে কম ভোট পড়ে। তারওপর যদি বিজেপির ভোটে বামেরা থাবা বসায় তখন পদ্মশিবির পারবে তো মাদারিহাট ধরে রাখতে। আলিপুরদুয়ারের পাশেই কোচবিহার জেলা। সেখানে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জিতেছিল প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। এবারে সেখানে এই জয়ের ব্যবধান বাড়বে। বাকি ৪ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ১৩ হাজার থেকে ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। সেখানেও এই ব্যবধান বাড়বে বই কমবে না। তাহলে ডাক্তাররা যদি ‘No Vote To TMC’র ডাকও দেয়, সেই ডাকে সাড়া দেবে কে!




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন রবিবার চালাবে পূর্ব রেল

মহিলার স্তনে হাত দেওয়ার চেষ্টা ‘ধর্ষণ ‘না, ‘চরম যৌন নির্যাতন’ বলে অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের

শহিদ জওয়ান ঝন্টু শেখের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখমন্ত্রীর

ঠিক কত নম্বর পেলে পাশ? উচ্চমাধ্যমিকে সেমিস্টারের নিয়মে বড় পরিবর্তন সংসদের

৩০ এপ্রিল রাজ্যে ‘হিট-স্ট্রোক ট্রিগার ইভেন্ট’ তৈরি হবে, বিশেষ সর্তকতা জারি

মাসে মাসে টাকা পাবেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা, বড় ঘোষণা মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর