নিজস্ব প্রতিনিধি: মহানবমীতে কিছুটা গিয়েও থিত হয়েছে কলকাতার ভিড়। বৃষ্টির ভ্রূকুটি থাকায় মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় কমছে রাতের দিকে। অষ্টমীতে যে ভিড় দেখা গিয়েছিল তা থিতিয়ে এসেছে ধীরে ধীরে। কিন্তু যত রাত বাড়ছে ভিড় বাড়ছে উত্তর কলকাতায়। চাপ বাড়ছে কাশী বোস লেন, দমদম পার্কের পুজো, নলিনী সরকার স্ট্রিট, টালা প্রত্যয়-এর মত পুজোগুলিতে। মাস্ক ছাড়াই আমজনতার ভিড় দেখে চিন্তায় চিকিৎসকেরা। মূলত শ্রীভূমির জৌলুস কমতেই ভিড় ছড়িয়ে গিয়েছে চারিদিকে। সঙ্গে নবমীর রাত বাড়ছে কাল আবার বিজয়া দশমী। বিগত কিছুদিন ধরেই উত্তরের বাগবাজার সার্বজনীন থেকে কলেজ স্কোয়ার কিংবা দক্ষিণের সুরুচি সংঘ থেকে নাকতলা, অষ্টমীর ভিড় উপচে পড়েছিল শহরের নানাপ্রান্তে একাধিক পুজো মণ্ডপে। আর এতেই বেলাগাম হচ্ছে করোনা সংক্রমণের, যার আশঙ্কাই করেছিলেন চিকিৎসকরা।
তবে ভিড় তাৎপর্যপূন্য ভাবে কমেছে দক্ষিণ কলকাতায়। বারণ রয়েছে তাই ধরা পড়েনি দক্ষিণের অন্যতম প্রাণোচ্ছল জায়গা ম্যাডক্স স্কোয়ার। সেই চেনা ভিড় নেই উদ্দাম নাচ নেই। রাত বাড়ছে বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় দক্ষিণের ভিড় কমছে শহরের পুজো মণ্ডপ গুলিতে। মূলত ভিড় বেশি হচ্ছে পুরস্কৃত মণ্ডপ গুলিতে। তাই নবমীর নিশিতেও মানুষ প্যান্ডেল হপিং বাদ দিচ্ছেন না বলাই যায়। কেউ পরিবারের সঙ্গে পৌঁছে যান দক্ষিণের হিট পুজো সুরুচি সংঘতে। এরপর একে একে চেতলা অগ্রনী, মুদিয়ালি, শিবমন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, ৬৬ পল্লী, দেশপ্রিয় পার্ক, হিন্দুস্থান পার্ক হয়ে সোজা একডালিয়া এভারগ্রীন। প্রশাসন কিংবা পুজো উদ্যক্তোরা বিশেষ ব্যবস্থা নিলেও উৎসাহী জনতার কাছে কিছুদিন অসহায় ছিল তারা। বারবার বিশেষজ্ঞরাই বারণ করেছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ এখনও বাকি, অপেক্ষায় রয়েছে মারণরোগ থাবা বসানোর জন্য।
আদালতের নির্দেশ ছিল যারা করোনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা প্রবেশ করতে পারবেন মণ্ডপে। কিন্তু অশান্তি এড়াতেই সমস্ত পুজো মণ্ডপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না সাধারণ দর্শনার্থীকে। আর তাই মণ্ডপের বাইরে নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব মেনে ঠাকুর দেখার জন্য মানুষের ভিড় বাড়ছেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রতিটি মণ্ডপেই কমবেশি ভিড় রয়েছে।