নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগে শহরবাসীকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। জানিয়ে দিল, পুজোর সময় একটু অসতর্ক হলেই বিপদ। লোকাল ট্রেন ধরে আসা শহরতলির দাগী চোরেরা(Spotted Thieves) কয়েক মিনিট সময় পেলেই সর্বস্ব হাতিয়ে উধাও হবে। তাই বাড়ি ফাঁকা(Empty House) রেখে দিনের বেলাতেও অঞ্জলি দিতে পুজো মণ্ডপে যাবেন না। সাধারণত কলকাতা শহরে পুজোর সময় ডাকাতি, খুনের মতো অপরাধের গ্রাফ বরাবর নিম্নমুখী থাকে। কিন্তু অতীত দেখা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে হঠাৎ করে চুরির(Theft) সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যায়। কারণ, পুজোর ছুটি পড়তে না পড়তেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির সিংহভাগ সফরে বেরিয়ে পড়েন। তেমনিই আবার পুজোর(Durga Puja) দিনগুলিতে বাড়ি ফাঁকা রেখেই পরিবারের সবাই অঞ্জলি দিতে যান। কেউ বা মণ্ডপেই জমিয়ে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। এই সুযোগটাই নিয়ে থাকে শহরতলি থেকে আসা পেশাদার চোরেরা। তাই পুজোর সময় আর পাঁচটা অপরাধ কমলেও চুরির সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যায়। সেকথা মাথায় রেখেই এবার শহরবাসীকে সতর্ক করে দিল কলকাতা পুলিশ।
চুরি শুধু রাতের অন্ধকারে হয়, এমন ভুল ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও রয়ে গিয়েছে। কিন্তু পেশাদার চোর দুই ধরনের হয়। একদল রাতে চুরি করতে অভ্যস্ত, গোয়েন্দাদের ভাষায় যাদের বলা হয় Night Burglar, আর একদল দিনের আলোয় সুযোগ বুঝে চুরি করে। এদের Day Burglar বলা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, একটা সাঁড়াশি ও গামছা পেলে নামী ব্র্যান্ডের স্টিল আলমারির তালা ভাঙতে একজন পেশাদার চোরের মেরেকেটে দু’-তিন মিনিট সময় লাগে। পুজোর সময় এই দুই ধরনের চোরেরাই সমান সক্রিয় থাকে। তাই পুজোর সময় ফাঁকা বাড়ি গৃহস্থের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনতে পারে। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা, কেয়ারটেকার থাকলে অনেকটাই বাঁচোয়া। কিন্তু ব্যক্তি মালিকাধীন ফাঁকা বাড়ির ক্ষেত্রে বিপদ বেশি। কারণ, চোরদের টার্গেট থাকে এমন বাড়ি। তাই পুজোয় বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে বেড়াতে গেলে, স্থানীয় থানায় অবশ্যই জানিয়ে যান, যাতে টহলদারির সময় পুলিশ নজর রাখতে পারে।