এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপি যোগ ফাঁস হতেই সুর বদল নওশদের, সরছেন সমর্থকেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) পদক্ষেপে রাজ্য রাজনীতিতে কোনঠাসা ISF। হ্যাঁ এটাই চরম বাস্তব। আর সেই বাস্তবতার বুলি ধরা পড়েছে ISF’র একমাত্র বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকির(Nowshad Siddiqui) গলায়। তিনি এখন ভাঙড়বাসীর শান্তির দোহাই দিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা বলছেন। কিন্তু সত্যিই কী প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের নেপথ্যে ‘শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা? নাকি দলের ভাবমূর্তি শোধরানোর প্রচেষ্টা? উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। গত শনিবার তৃণমূলের তরফে বিজেপির(BJP) সঙ্গে ISF’র যোগ সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তারপর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বাংলার সংখ্যালঘু জনসমাজ, যাদের মধ্যে ভাঙড়ের বাসিন্দারাও আছেন। সেই ভাঙড় যেখানকার বিধায়ক নওশদ নিজে, সেই ভাঙড় যেখানে ৩জন মারা গিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের পর্বে। সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, ক্ষোভ ISF’র বিরুদ্ধেই। দ্রুততার সঙ্গে সংখ্যালঘু সমাজ সরে যাচ্ছেন ISF’র পাশ থেকে। আর তা বুঝেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন নওশদ। যদিও সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল আদৌ সম্ভব কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।   

আরও পড়ুন আরাবুলকে ঝেড়ে ফেলছে তৃণমূল, দায়ের খুনের অভিযোগ

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে হঠাৎ করেই নানা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে শুরু করেছিল হয়দরাবাদের সংখ্যালঘু রাজনৈতিক দল AIMIM যার মাথা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর দাবি ছিল, তিনি তাঁর দলের বিস্তার ঘটাচ্ছেন দেশের অনান্য রাজ্যে। তাই প্রার্থী দিচ্ছেন। সেই প্রার্থীদের সুফল যতটা না ওয়াইসির দল পেয়েছিল তার চেয়ে বেশি পেয়েছিল বিজেপি। কেননা দেখা যাচ্ছিল ওয়াইসির দল সেই সংখ্যালঘু ভোট কাটছিল যা বিজেপি বিরোধী। কিন্তু সেই ভোট ওয়াইসির দল পেয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল বিজেপি বিরোধী সেই রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দল। তা সে কংগ্রেস হোক কী কোনও আঞ্চলিক দল। কার্যত তা দেখেই দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ তুলতে শুরু করে যে, ওয়াইসির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের সুবিধা করে দিতেই বিরোধী ভোট কাটার লক্ষ্যে বিজেপি থেকেই ওয়াইসিকে রাজ্যে রাজ্যে নামানো হচ্ছে দম দিয়ে, এমনই অভিযোগ ছিল বিজেপি বিরোধী দলগুলির। এখন একই অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে আব্বাস সিদ্ধিকি ও নওশদ সিদ্দিকি’র ISF।

আরও পড়ুন সাড়া দেননি শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে নওশদ

কার্যত তৃণমূল যেভাবে রাজ্য রাজনীতির ভরা বাজারে আব্বাস সিদ্ধিকি ও নওশদ সিদ্দিকি’র বিজেপি যোগ ফাঁস করে দিয়েছে তাতে করে এখন সিদ্দিক্কিদের বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছেন বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ। তাঁদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। এখন তাঁরা বেশ বুঝতে পারছেন বিজেপিরই বি-টিম এই ISF। বিজেপির মদতেই সিদ্দিকিরা বাংলায় রাজনীতি করছে তৃণমূলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই। এই আঁতাত বাংলার সংখ্যালঘু মানুষ ভালভাবে মেনে নেবেন না। কার্যত বিজেপি যেভাবে পিছন থেকে পর্দার আড়াল থেকে নওশদকে বাংলার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বানাতে শুরু করেছিল এবং ISF-কে যেভাবে বাংলার AIMIM বানাতে চেয়েছিল তা ভরা বাজারে ফাঁস করে দিয়েছে তৃণমূল। আর তাতেই সিদ্দিকি ভাইদের পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ। ISF’র জন্মই হয়েছিল সংখ্যালঘু স্বার্থের উন্নয়নে। কার্যত তা হয়ে উঠছিল বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের নিজস্ব দল। যে দলকে তাঁরা হৃদয় থেকে ভালবাসতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই ISF’র সঙ্গে বিজেপি যোগ তাঁদের স্বপ্নে ধাক্কা দিয়েছে। তাঁদের ভালবাসায় ধাক্কা দিয়েছে। বিশ্বাসে ধাক্কা দিয়েছে। 

আরও পড়ুন বাংলার ২৮ হাজার মানুষ পাচ্ছেন না পেনশন

আবার গেরুয়া পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিজেপিও এখন নওশদের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। তাই আবেদন জানিয়েও মেলেনি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলয়। নওশদ তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে নিরাপত্তা চেয়ে। সঙ্গে বলেছেন প্রার্থী প্রত্যাহার করবে তাঁর দল। শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যেই নাকি এই পদক্ষেপ। তবে দিয়েছেন শর্ত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) জানাতে হবে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করুক ISF। প্রশ্ন, নওশদ বার বার কেন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন? নবান্নে যাচ্ছেন দেখা করতে, এখন আবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন শান্তি স্থাপন করতে! হঠাৎ হল কী নওশদের? ভয় পেয়ে গেলেন নাকি? কিসের ভয়? গ্রেফতারির? নাকি পায়ের তলার মাটি সরছে বলে এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশ্রয় খুঁজছেন? কোনটা? প্রশ্ন কিন্তু উঠে গেল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব’, আবারও বোসকে নিশানা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর