নিজস্ব প্রতিনিধি: সাইবার অপরাধ বর্তমান সময়ে বড় আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে সাইবার দুনিয়ায় জালিয়াতি ও অপরাধের সংখ্যা। একটি অভিযোগের তদন্ত শেষ করার আগেই জমা পড়ছে আরও ভুরি ভুরি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ। সাইবার অপরাধের এমন বাড়বাড়ন্তে তাই চিন্তিত লালবাজার। যদিও বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে নেমে বহু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাইবার অপরাধ দমনে সাধারণ মানুষকে পুলিশের তরফে সচেতনতা চালানো হয়। কীভাবে অনলাইনে জালিয়াতি চলে, সে বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করে প্রচারাভিযান চালায় লালবাজার। কাউকে ওটিপি না দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড না দেওয়া বা এটিএম কার্ডের পিন শেয়ার না করা-সহ একাধিক বিষয়ে সচেতন করে চলেছে পুলিশ। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে চলেছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা।
সম্প্রতি পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের এলাকাতেই ৬২ শতাংশ সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ার সংখ্যা বেড়েছে। ১২ শতাংশ ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্য পুলিশের এলাকায় ৭২ শতাংশ সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ার সংখ্যা বেড়েছে। গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেওয়া গিয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে। তবে জমা পড়া অভিযোগের থেকে গ্রেফতারের সংখ্যা কম হওয়া নিয়ে পুলিশের দাবি, কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে সময় লেগে যাচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মত, অপরাধ কমাতে সচেতনতার উপর জোর দিতে হবে। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরণ বদলাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। এক সাইবার বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘টর ব্রাউজ়ার’ নামে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে বেশির ভাগ প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। সাইবার অপরাধীকে ধরা সম্ভব তার আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করার মাধ্যমে। কিন্তু টর ব্রাউজ়ারে যে হেতু সেই আইপি অ্যাড্রেসই গোপন থাকে, সে হেতু সহজে অপরাধীর হদিস মেলে না।