নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কিছু অংশের সংশোধন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার সেই নির্দেশের কিছু অংশ বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত বিচারপতি বিবেক চৌধুরী রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘প্রতিটি প্রভাবশালীর নিরাপদ জায়গা এসএসকেএম। বর্ষীয়ান মন্ত্রী, যাঁর প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যেতেও পারেন।’ রবিবার সেই পর্যবেক্ষণের পর পার্থকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের বদলে ভুবনেশ্বরের এইমসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রবিবারের ওই নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণের বেশকিছু অংশ মুছে দেওয়া বা সংশোধনের আবেদন জানান। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের যে অংশগুলি বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি
১. চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তরা। দুর্নীতিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বিপুল টাকা সংগ্রহ করেছেন অভিযুক্তরা।
২. কেস ডায়েরি থেকে দেখা যাচ্ছে যে তল্লাশি অভিযানের সময় অভিযুক্তের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। ফলে আইনজীবী থাকতে না দেওয়ার যে অভিযোগ অভিযুক্ত তুলেছেন, তা সম্ভবত মিথ্যা।
৩. বর্ষীয়ান ক্যাবিনেট মন্ত্রী, যাঁর অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. যদি এটা ঘটে (জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান) তাহলে বিচার ব্যবস্থা হাজার হাজার যোগ্যপ্রার্থীদের অশ্রু ধারায় অভিশপ্ত হবে। যাঁদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সোমবার তাঁকে কলকাতা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। বর্তমানে সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড।