নিজস্ব প্রতিনিধি: এ বারের জন্মদিন যে তাঁকে জেলে কাটাতে হবে, তা কী আদৌ ভেবেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়? পুজো কেটেছে জেলে, এবার জন্মদিনও কাটাতে হলো জেলের মধ্যে। জেলের বন্দিদশায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় কোনও আলোর ঝলকানি, বন্ধু, বান্ধবী শুভানুধ্যায়ীদের ছাড়া কাটাতে হলো জন্মদিন। এ বছর ৭০ বছর পূর্ণ করে ৭১ বছরে পা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর জন্ম হয় তাঁর।
গত বছর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুর কারণে নিজে থেকে জন্মদিনের আয়োজন করতে বারণ করেছিলেন বাড়িতে। যদিও তাতেও শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়া থেকে থেমে ছিলেন না তিনি। বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও অনুগামীরা শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাকে। এমনকি কর্মী-সমর্থকদের উদ্যোগে বেহালার পার্টি অফিসে ধুমধাম করে কেক কেটেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার দলীয় কার্যালয়ে পালন করা জন্মদিনের সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পার্থ-বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও। তবে বর্তমানে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে জেলে রয়েছেন। একসময়ের রাজ্যের দাপুটে হেভিওয়েট নেতার জন্মদিন কাটলো বৃহস্পতিবার নিঃসঙ্গভাবে জেলের কুঠুরিতে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় যখন বেঁচে ছিলেন, সেই সময় প্রতি বছর জন্মদিনে বাড়িতে পায়েস খেয়ে জন্মদিন পালন করতেন তিনি। এরপর কর্মী ও অনুগামীদের আয়োজনে কখনও আনা হতো ফিটন গাড়ি, নতুন পোশাক পরে সেই গাড়িতে চেপে তিনি জন্মদিনে অনেকটা সময় কাটাতেন। কখন পুজোর মরসুমে জন্মদিন পড়লে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের কর্মকর্তারা পুজোর মাঝেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করতেন। কিন্তু ২০১৭ সালে স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় ও ২০২১ সালে মা শিবানী চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর পার্থর বাড়ির জন্মদিন পালনে বদল আসে। আর ভাগ্যের পরিহাসে এ বছর জেলেই কাটলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গা পুজো এবং জন্মদিনও।