নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের আমলে দেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে উঠেছে বাংলা(Bengal)। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন, মহিলাদের উন্নয়ন, গ্রামীণ পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে একাধিকবার বাংলা দেশের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। এবার দেখা গেল ভোটদানের ক্ষেত্রেও বাংলা দেশের মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে গিয়েছে। এদিন অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) প্রথম দফার ভোটগ্রহণের(Polling) পালা। এদিন বাংলার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের(ECI) তথ্য বলছে এই ৩ কেন্দ্রে প্রথম ২ ঘন্টাতেই গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এদিন দেশের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার এই ৩টি কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও প্রথম ২ ঘন্টাতে এই হারে ভোট পড়েনি। আর সেই কারণেই এই ৩ কেন্দ্রে জয় নিয়ে তৃণমূল(TMC) যেমন রীতিমত আশাবাদী ও উচ্ছাসিত তেমনি চিন্তা দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কেননে এই ৩ কেন্দ্রই উনিশের ভোটে গিয়েছিল বিজেপির(BJP) দখলে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে ১৫.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোচবিহারে ভোট পড়েছে ১৫.২৬ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ১৫.৯১ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ১৪.১৩ শতাংশ। বাংলার চিরাচরিত ভোটরাজনীতির তথ্য বলছে, সকাল সকাল ভোটদানের অর্থ মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আবার অনেকে দাবি করছেন, গরম থেকে বাঁচার জন্যও মানুষ সকাল সকাল বুথে এসে ভোটদান করছেন। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন যে, দেশের অনান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার মানুষ রাজনৈতিক ভাবে বেশি সচেতন। একই বাংলার বুকে ১২ মাসে ১৩ পার্বণের সঙ্গে ভোটকেও গণতন্ত্রের উৎসব হিসাবেই দেখা হয়। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চান। আর তাই এদিন সকালেই রেকর্ড গড়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষেরা। সব থেকে বড় কথা এদিন রাজ্যের ৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রায় সব বুথেই মহিলা ভোটারদের উপস্থিতির হার বেশ চোখ টানছে। সাধারণত দেখা যায় মহিলা ভোটাররা দুপুরের দিকে আসেন ভোট দিতে। কিন্তু এদিন বুথে বুথে সকাল থেকেই মহিলাদের উপস্থিতি সেই ধারনা বদলে দিচ্ছে।