নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতে অন্ধকার নামলে শুরু হয়ে যেত মাদক বিক্রি। গভীর রাতে কখনও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে, আবার কখনও প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডে মাদক পাচারকারী(Drug Smuggling) অটো চেপে এসে দিয়ে যেত মাদক। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই মাদক চক্রের পান্ডা। সেই পান্ডা আবার এক মহিলা। পুলিশ সুত্রে খবর, ধৃতের নাম সাহিদা বিবি। দক্ষিণ কলকাতার অলিগলিতে সে পৌঁছে দিত মাদক। ধৃতের কাছ থেকে দু’টি প্যাকেটে উদ্ধার হয়েছে মোট ২৫৯ গ্রাম মাদক। যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অন্তত ১০ লাখ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, গল্ফগ্রিন, টালিগঞ্জ, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় মাদক পাচার ও বিক্রি করত সাহিদা। গাঁজার পাশাপাশি চরস, হেরোইনও বিক্রি করত সে। কিছু তরুণকে বেছে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তোলে নিজের নেটওয়ার্ক। তার মাদক ক্রেতার তালিকায় রয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অভিজাত পরিবারের তরুণরা। লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গাঁজা বা হেরোইন বিক্রি করলেও সাহিদার লক্ষ্য রয়েছে বিশাল মুনাফা লাভের দিকে। সেজন্য সে বাইরের পাচারকারিদের কাছে অনেকটা মাদক পাচার করতে চায়। গোপন এই পরিকল্পনা জেনে নিয়ে ফাঁদ পাতে গোয়েন্দারা। আর তাতেই ধরা দেয় সাহিদা বিবি। পাশাপাশি যে অটো করে মাদক সরবরাহ করা হত, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সেটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। সাহিদাকে জেরা করে মাদক চক্রের অন্যদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে তাদেরকেও ধরার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাহিদার মাদক সংযোগের জেরে এর আগে একাধিকবার পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। পুলিশের তরফে তাকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবার আড়ালে থেকে শুরু করে সে মাদক ব্যবসা।