নিজস্ব প্রতিনিধি: আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত বদলাছে সমাজ। বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে স্বাক্ষরতার হারও বাড়েছে। তবুও উন্নত এই সমাজে এখন কাঁটার মতো গেঁথে রয়েছে মহিলাদের প্রতি অমানবিক অত্যাচার। সেই অত্যাচারের শিকার হয়েই এবার জীবন গেল দক্ষিণ শহরতলির সোনারপুর(Sonarpur) এলাকার এক গৃহবধূর। পুলিশ(Police) তার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে গৃহবধূর(Housewife) বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩জনকে গ্রেফতারও করেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে সোনারপুরে শ্বশুরবাড়িতে কাশ্মীরা খাতুন(Kashmira Khatun) নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সোনারপুর থানার পুলিশ, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তাঁরাই দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কয়েক বছর আগে কাশ্মীরের সঙ্গে আরবার লস্করের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতে টাকা পয়সা নিয়ে লস্করের বাড়ি থেকে চাপ দিতে থাকে। সাংসারিক বিভিন্ন কারনে কাশ্মীরার ওপর প্রায় অত্যচার করা হতো। এসব নিয়ে বেশ কয়েক বার মায়ের কাছে অভিযোগও করে কাশ্মীরা। তারপর শ্বশুরবাড়ি থেকে আচমকাই কাশ্মীরার বাপের বাড়ির কাছে খবর আসে তাঁদের বাড়ির মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।
কাশ্মীরার শ্বশুরবাড়ি থাকে কাশ্মীরার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ছাইলেও, কাশ্মীরার বাপের বাড়ির পরিবার কিন্তু এই দাবিকে কোনও ভাবে মেনে নেয়নি। তাই লিখিত ভাবে কাশ্মীরার বাপের বাড়ির পরিবার আরবান লস্করের বাড়ির বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গৃহবধূর মৃত্যুর ওই ঘটনা নিয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত লস্করসহ তাঁর পরিবারের ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান যত শীঘ্র সম্ভব অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।