নিজস্ব প্রতিনিধি: রক্ষকই ভক্ষক! চোর ধরার কথা যাদের সেই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেই কি না চুরির অভিযোগ উঠল। হার ছিনতাই করার অভিযোগে হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল বড়বাজার থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা সমীরণ মান্না। দরকারি কাজে হাওড়ায় এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বাস থেকে হাওড়া স্টেশনের কাছে নামার পর পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় তারা। একটি সাদা গাড়িতে ৫৫ বছর বয়সী সমীরণকে তুলে নিয়ে যায় চার জন। এর পর তাঁর কাছে থাকা রুপোর সমস্ত গয়না কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। পৌঢ় সমীরণকে নিউ টাউনে বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় ওই চার জন। এমন ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশের দ্বারস্থ হন সমীরণ। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বড়বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। যারা তাঁর গহনা চুরি করেছে সেই চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় বড়বাজার থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার পর চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে প্রথমে রুপোর গহনা চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটিকে খুঁজে বের করা হয়। গাড়িটি চিহ্নিত করার পর তার চালক ৩৫ বছর বয়সী সঞ্জয় কুমার শাহকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। তার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ মেলে। বৃহস্পতিবার ফিরোজ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর নারায়নপুরের বাসিন্দা তিনি। তার কাছ থেকে ৪.৬ কেজি ওজনের রুপোর গহনা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের নাম যথাক্রমে, সুরজিৎ সরকার, সমীরণ পাত্র এবং আব্দুস সালেম শেখ। সুরজিৎ এবং সমীরণ হাওড়া সিটি পুলিশের কনস্টেবল। ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে।