এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিক্ষিপ্ত অভিযোগের মধ্যেই ভোট চলছে বালিগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকেই সবার নজর আটকে রাজ্যের দুই কেন্দ্রে। একটি বালিগঞ্জ(Ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্র অ অন্যটি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। কেননা মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই দুই কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের পালা। কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে এদিন সকাল থেকেই ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অভিযোগ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। কোথাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে, কোথাও অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে মোটের ওপর সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০০টি বুথের মধ্যে ২৩টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও সবকটি বুথেই সিসিটিভি’র নজরদারি থাকছে। এছাড়া সামগ্রিক ভাবে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে সম্পন্ন হয় তার জন্য ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথ ও বুথের বাইরে ২০০ মিটারের মধ্যে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতি বুথে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। ২০০ মিটারের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কিছু বুথে যেমন অভিযোগ উঠছে রাজ্য পুলিশ বুথের মধ্যে থাকা নিয়ে তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে ভোটারদের ভোট না দিতে দেওয়ার। তবে তার মধ্যেই তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীরা একের পর এক বুথে ঘুরে চলেছেন।

বালিগঞ্জে এবার চতুর্মুখী লড়াই। এখানে তৃণমূলের(TMC) হয়ে প্রার্থী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya)। যিনি শুধু শিল্পী তাই নয়, প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। বাবুলের বিরুদ্ধে এবার প্রধান লড়াই হচ্ছে বিজেপি(BJP) প্রার্থী কেয়া ঘোষের(Keya Ghosh)। এছাড়াও মাঠে আছেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম ও কংগ্রেস প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরী। এদের মধ্যে থেকে রাজ্য বিধানসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র কে পাবেন সেটা এদিন ঠিক করে দেবেন এলাকার প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটার। আগেকার ভোট পরীক্ষার রেজাল্ট দেখলে অবশ্যই বলতে হবে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অ্যাডভান্টেজ তৃণমূলেরই। জোড়াফুল শিবিরের তরফেও জানানো হ্যেছে এদিন যে তাঁরা বাবুলের জয় নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দিগ্ধ নন, তাঁরা জয়ের মার্জিন নিয়ে ভাবছেন। এই অবস্থায় এদিন সকাল থেকেই বাবুলকে দেখা গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে একের পর এক বুথে ঘুরে বেড়াতে। সংবাদমাধ্যমের সামনে গান গেয়ে শোনানোর পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, তার জন্য ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ অনেক আগে শেষ হয়েছে।

তবে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ থেকে অভিযোগও উঠছে। যেমন বাবুলকে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে দুটি বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এক বাবুলকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং দুই ভোটারদের হাতে মোবাইল থাকলে তাঁদের বুথে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। আর সেই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নিতে চাইছে কমিশন। এর পাশাপাশি পাঠভবন এবং মডার্ন হাফ স্কুলের ভিতরে কলকাতা পুলিশের কর্মী থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। সেই ঘটনা নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। আবার একঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি বালিগঞ্জের সৈইফি হল স্কুলে। অন্যদিকে অশোক হল স্কুলের বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। শুরু হয় বচসা। সেক্টর অফিসারকে ফোন করে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার কারণ হিসাবে প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই পার্টের বাসিন্দা নন। আবার ২০৬ নম্বর বুথে ভিভিপ্যাট ঠিকমতো কাজ করছে না বলে এদিন অভিযোগ জানিয়েছেন সিপিএম।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় বদল, জায়গা করে নিল আরও ১২ জন

প্রচারে বেরিয়ে আচমকা অসুস্থ সায়নী, বাতিল সমস্ত কর্মসূচি

বিলুপ্ত Typist পদের জায়গায় LDA পদ সৃষ্টির দাবি

ঘুরপথে হিন্দি চাপানোর প্রচেষ্টা UGC’র, সরব ব্রাত্য সহ রাজ্যের শিক্ষাবিদরা

জামিন পেয়েই বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর