নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবার মহারাষ্ট্রের ছায়া।বাংলার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হোটেলে।আগামী সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগের দিন রবিবার বিজেপি বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে গেল গেরুয়া শিবির। রবিবার কলকাতার নিউটাউনে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের।
বিজেপি বিধায়কদের কেন নিয়ে যাওয়া হল হোটেলে? সূত্রের খবর, এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে যাতে সব বিজেপি বিধায়ক ভোট দেন তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। এদিন মোট ৬৯ জন বিজেপি বিধায়ককে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলার রাজনীতি এই ঘটনা নজির বিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এর আগে বাংলায় কোনও রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়কদের নিয়ে একটি হোটেলে বা রিসর্টে গিয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, এমন ঘটনা মনে করতে পারছেন না কেউ। এতদিন ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য ঘোড়া কেনাবেচা হত। বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হতো কোনও হোটেল বা রিসর্টে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ক্ষমতার কুর্সিতে বসতে কিংবা অনুকূলে সমর্থন আদায় করতে বিধায়কদের নিয়ে হোটেল বা রিসর্টে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যে বিজেপির এখন ৭০ জন বিধায়ক রয়েছে। কিন্তু হোটেলে আনা হয়েছে ৬৯ জন বিধায়ককে। বিজেপির৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৭ জন বিধায়ক আগেই দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছে। এদিন বিজেপির যে বিধায়ক হোটেলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি অর্জুন পুত্র পবন সিং। বাবা তৃণমুল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর পবন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে দল না ছাড়লেও পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে পবনের ভোট তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীর দিকেই যাবে।
সূত্রের খবর, যদি তৃণমূলের কোনও বিধায়ক বা নেতার সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কোনও বিধায়কের যোগাযোগ হয় এবং এর ফলে তিনি বিজেপির মনোনীত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে যদি তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থীকে কে ভোট দেন তাহলে তা বিজেপির জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্ম দেবে। সেই কারণে এই ব্যবস্থা। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দূরবর্তী জেলা থেকে বিভিন্ন বিধায়করা আসেন। তাদের যাতে ভোট দিতে কোনও ঝামেলা না হয় সেই কারণে এই ব্যবস্থা। বিজেপি সূত্রে খবর, নিউটাউনের ওই হোটেলে রবিবার এসে পৌঁছবেন বিজেপির চিপ হুইপ। তিনি দলের বিধায়কদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেবেন। যাতে কেউ ভুলভাবে ভোট না দেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রথম বাংলায় বিধায়কদের হোটেলে এনে এইভাবে রাখার ঘটনা ঘটল।