এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রতিবছর হোক উদযাপনের মিছিল, চান পুজো উদ্যোক্তারাই

কৌশিক দে সরকার: কলকাতার দুর্গাপুজো(Durga Puja) পেয়ে গিয়েছে ইউনেস্কোর(UNESCO) বিশ্বঐতিহ্যের(World Heritage Tag) তকমা। এই গর্ব বাংলার, এই গর্ব বাঙালির। সেই তকমাপ্রাপ্তির জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতার বুকে এক মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মিছিল ছিল ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সেইদিনই একই ধরনের মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার ছিল সেই ঐতিহাসিক দিন যেদিন কলকাতা(Kolkata), বাংলা, ভারত ও বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে দুর্গাপুজোর বিশ্বঐতিহ্যের তকমাপ্রাপ্তির জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর মহামিছিলের(Mega Rally)। সেদিন কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর এলাকার অসংখ্য দুর্গাপুজো কমিটি সেই মহামিছিলে সামিল হয়েছিল। সেজে উঠেছিল কলকাতার রাজপথ। সেই মহামিছিলে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের পর এবার পুজো উদ্যোক্তারাই চাইছেন বছর বছর পুজোর আগে কোনও এক রবিবার ছুটির দিন থেকে এই মহামিছিল আয়োজিত হোক।  

কেন এই দাবি? আসলে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা মতো যেভাবে অসংখ্য পুজো কমিটি যেভাবে কলকাতার রাজপথে নানা রঙে রঙিন হয়ে এক ঐতিহাসিক মুহুর্তের জন্ম দিয়েছিল তা অনেক মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, পুরুষ, নারী, ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে যেভাবে সেদিন মিছিলকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলেছিল তার নজীর খুব একটা দেখা যায় না শহর কলকাতার বুকে। দেখা যায় না বাংলার বুকে, দেখা যায় না এই দেশের বুকেও। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে কলকাতার রাজপথে নেমে এসেছিলেন বিশিষ্টজনেরা, থিমশিল্পীরা, তারকারা, পুজোপাগল মানুষেরা, শতাধিক ক্লাবের প্রতিনিধিরা, লোকশিল্পীরা এবং আমজনতা। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সেদিন মা দুর্গার জন্য ক্লকাতার রাজপথ ভেসে গিয়েছিল পুজোর আবেগে। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আমজনতাদের অনেকেই চাইছেন এবার থেকে বছর বছর তাই এই মহামিছিল আয়োজিত হোক পুজোর আগে কোনও রবিবার বা ছুটির দিনে। কেননা এই মিছিল সফল ভাবে তুলে ধরেছিল বাংলার কৃষ্টিকে, সংস্কৃতিকে, পুজোর মেলবন্ধনকে এবং সর্বোপরি এক একতার ছবিকে। এই ঐক্যের ছবি বছর বছর কলকাতার রাজপথে তুলে ধরতে চান পুজো উদ্যোক্তারা।

এর পাশাপাশি তাঁরা আরও একটি যুক্তি তুলে ধরেছেন। রেড রোডে পুজোর পরে যে কার্ণিভাল হয় তাতে হাওড়া, কলকাতা ও বিধাননগর এলাকার হাতেগোনা কিছু পুজো কমিটি অংশ নিতে পারে। এই ৩ শহরের ছোটবড় সব পুজো কমিটি নিজেদের মতো করে কিন্তু এই মহামিছিলে অংশ নিয়েছিল। কার্ণিভালে যোগ দিতে না পারার আক্ষেপ অভিমান তাঁদের ধুয়ে মুছে গিয়েছে এই মহামিছিলে পা মিলিয়ে। রেড রোডে যত মানুষ কার্ণিভাল দেখতে আসেন তাঁর কয়েক শো গুণ বেশি মানুষ এই মহামিছিলে পা মিলিয়েছিল। এখানেই এর সব থেকে বড় সাফল্য। এই মিছিল পেরেছে সবাইকে কলকাতার রাজপথে সামিল করতে। তাই পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকেই চাইছেন বছর বছর এই মহামিছিল হোক কলকাতার বুকে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাক্য প্রশাসনের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে এই রকম প্রস্তাব এখনও আসেনি। কিন্তু দাবি জোরালো হলে অবশ্যই রাজ্য সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর