নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ছাত্রীর(Student) আবেদন। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে, ‘আমার গবেষণাপত্র জমা দিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করছিলেন আমার সুপারভাইজার। কয়েক সপ্তাহ আগে কারণটা জানতে পারি। উনি আমায় ওঁর অফিসে ডেকে পাঠান। ওঁর নজর ছিল আমার ওপর।’ ছাত্রীর দাবি, ওই সুপারভাইজার তাঁর উরু, গালে স্পর্শ করেন। দুই সপ্তাহ আগে এই ঘটনা নিজের ফেসবুক পেজে তুলে ধরেন ওই ছাত্রী। আর তার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়(Jadavpur University)। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করায় শেষে কড়া পদক্ষেপ নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাতে তাঁরা এক নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক(International Relations) বিভাগের যে অধ্যাপকের(Professor) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে। এই তদন্ত যত দিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত দিন পঠনপাঠন সংক্রান্ত কোনও কাজে অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক যুক্ত থাকবেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েও আসবেন না। কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠালে তবেই তিনি আসবেন। বিভাগীয় তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁকে বরখাস্ত করতেও পিছুপা হবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যদিও ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যিনি অপভিযোগ তুলেছেন তিনি ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশ(Police) সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে। যদিও সেই অধ্যাপককে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে ২ সপ্তাহ আগের ঘটনা কেন এত দেরীতে সামনে আনা হল। অভিযোগকারীনির দাবি, ঘটনার দিন গবেষণা নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁকে নিজের কোয়ার্টারে ডাকেন ওই অধ্যাপক। সেখানেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই অধ্যাপকের তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ওই অধ্যাপক ঘনিষ্ঠদের দাবি, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যৌন হেনস্থার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই ছাত্রী তাঁর গবেষণাপত্র অন্যের একটি গবেষণাপত্রের টুকলি করেছিলেন যা ওই অধ্যাপকের নজরে আসে। তিনি সেই গবেষণাপত্র তাই দাখিল করার অনুমতি দেননি। তার পরেই ওই ছাত্রী এই অভিযোগ তুলেছেন।