নিজস্ব প্রতিনিধি: দার্জিলিং ভিন্ন বাংলায় রোপওয়ে(Ropeway) কোথাও নেই। কলকাতা সহ রাজ্যের কিছু বিনোদনমূলক পার্কে রোপওয়ে থাকলেও তা ছোটখাটো। পার্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রকৃতির সৌন্দর্যকে চাক্ষুষ করার মতো রোপওয়ের বেশ অভাব রয়েছে বাংলার বুকে। এবার সেই অভাবের জায়গায় কিছুটা হলেও শূন্যস্থান পূরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কলকাতার কাছাকাছির মধ্যে ‘উইক-এন্ড ডেস্টিনেশন’ হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় গঙ্গার(Ganges) ধারে জেলার অন্যতম মহকুমা শহর ডায়মন্ডাহারবারের(Daimond Harbour) পরিচিতি দীর্ঘদিনের। অনেকেই সেখানে গিয়ে গঙ্গার শোভা উপভোগ করেন। শীতের মরশুমে ভিড় জমান পর্যটকদের পাশাপাশি পিকনিক পার্টির লোকেরাও। কিন্তু তারপরেও এই শহরে যত পর্যটক বছরভর দৈনিক ভিত্তিতে আসার কথা তা আসেন না। আর সেই পর্যটকদের ঢল টেনে আনতেই এবার ডায়মন্ডহারবারে রোপওয়ে তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারের বুকে পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতেই সেখানকার পুরসভা(Municipality) রাজ্য পর্যটন দফতরকে(Tourism Department) প্রস্তাব দিয়েছে গঙ্গার ধারে একটি রোপওয়ে নির্মাণ করতে। মূলত গঙ্গার শোভা যাতে পর্যটকেরা আরও বেশি করে উপভোগ করতে পারেন তার জন্যই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শহরের কেল্লার মাঠ থেকে ফকিরচাঁদ কলেজ সংলগ্ন গঙ্গাপাড় পর্যন্ত এই রোপওয়ে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত রোপওয়ের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৩ কিলোমিটার। বর্তমানে নদীর পাড়ে সৌন্দর্যায়নের কিছু কাজ হলেও পুর কর্তৃপক্ষ তার আমূল বদল করতে চাইছে। পুরসভার তরফে রোপওয়ের রুট নির্ধারণ করা হলেও কীভাবে তা রূপায়িত হবে, ওই পথে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, কোথায় পিলার বসবে—এসব বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে শোনা গিয়েছে এই প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবিদদের একাংশের তীব্র আপত্তি আছে। তাদের দাবি, এই প্রকল্প রূপায়িত হলে পরিবেশবিধির লঙ্ঘণ ঘটবে।
অন্যদিকে ডায়মন্ডাহারবার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে গঙ্গার ধারে রোপওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব পেয়ে সেখানে একদফা পরিদর্শন করে গিয়েছেন পর্যটন দফতরের আধিকারিকেরা। পুর কর্তৃপক্ষের আশা, পর্যটন দফতর প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে। আর প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ডায়মন্ডহারবারের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বাড়বে। শহরে ঢল নামবে পর্যটকদের। একই সঙ্গে ডায়ম্নডহারবার শহরে কলকাতার নিউটাউনের ইকো পার্কের আদলে একটি ইকো পার্ক গড়ে তুলতেও চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফকিরচাঁদ কলেজের পিছনের দিকে নদীর ধারে ৪ একর জমির ওপর ওই ইকো-টুরিজম পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।