-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:13 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাবালকদের টিকাকরণের কর্মসূচী। মূলত ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়াদের এদিন থেকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতায় এদিন সেই কাজ শুরু হয় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের উপস্থিতিতে। কলকাতার ১৬টি বোরোর ১৬টি সরকারি স্কুলে এদিন থেকে সেই ভ্যাক্সিন প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। আগামিকাল থেকে শহরের ৫০টি স্কুলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে যার মধ্যে থাকছে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলও। এর পাশাপাশি শহরের ৩৭টি কোভ্যাক্সিন সেন্টার থেকেও দেওয়া হবে প্রতিষেধক।
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সারদা ইন্সস্টিটিউশন ফর গার্লস, গভর্নমেন্ট স্পনসরড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ টাকি হাউজ, চেতলা গার্লস হাইস্কুল, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়, গার্ডেনরিচ নুটবিহারি গার্লস হাইস্কুল-সহ কলকাতার একাধিক স্কুলে টিকাকরণ হচ্ছে। কোউইন পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করে এই টিকা নিতে হবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে। যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের কম কিন্তু স্কুলছুট হয়েছে বা স্কুলে পড়ে না, এমন নাবালক বা নাবালিকাদের পুরনিগমের টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে৷ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ২০০৭ সাল এবং তার পরবর্তী তিন বছরে যাদের জন্ম হয়েছে, তারাই এই নির্দিষ্ট বয়সসীমার আওতায় কোভিডের টিকা নিতে পারবে৷
অন্যদিকে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, যে সব পড়ুয়ার আধার কার্ড বা স্কুলের আই কার্ড নেই তাঁরা রেশন কার্ড নিয়ে গিয়েও টিকা নিতে পারবে। প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে অনুরোধ করব তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। টিকা নিলে প্রায় সবারই অল্প জ্বর আসছে। গলা ব্যথা, গা হাত পা ব্যথার মতোও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে কিছু হচ্ছে না। তাই ভয়ের কোনও কারন নেই। এগুলি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয় পেয়ে নাবালক বা নাবালিকাদের ভ্যাকসিন না দেওয়ানো, অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত হবে।