নিজস্ব প্রতিনিধি: বিসিসিআই(BCCI) সভাপতি পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়(Sourav Ganguly)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানানোর পাশাপাশি জানালেন, ‘মানুষের উপকার হবে এমন কিছু করতে চাই।’ আর তার জেরেই ফের ছড়ালো জল্পনা, তাহলে কী তিনি রাজনীতিতে(Politics) যোগ দিতে চলেছেন! যদিও বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ জানিয়েছেন, সৌরব বিসিসিআই পদ থেকে ইস্তফা দেননি। সৌরভের টুইটেও অবশ্য বিসিসিআই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়েও কিছু লেখা হয়নি। তবে তিনি ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন।
বুধবার টুইট করে সৌরভ লিখেছেন, ‘১৯৯২ সালে আমার ক্রিকেটের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা ২০২২ সালে ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। তখন থেকেই ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সব থেকে বড় কথা, এই যাত্রায় আমি আপনাদের সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমি আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আজকের এই জায়গায় নিয়ে আসার জন্য। এখন আমি নতুন কিছু করতে চাই যা অনেক মানুষের উপকারসাধন করবে। আমি আশা করব আমার জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে আপনারা আমায় সমর্থন করবেন।’
সৌরভের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়েই অনেক ধরনের জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে ভূ-ভারতে। তবে সেই জল্পনার জোয়ার এখন সুনামির আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার বুকে। কেননা ‘দাদা’ যে বাঙালি। তাই ‘দাদা’ যাই কিছু করুন না কেন, বাংলায় তাঁর প্রভাব পড়তে বাধ্য। আর এখানেই সিংহভাগ মানুষের ধারনা আদতে রাজনীতিতেই যোগ দিতে চলেছেন সৌরভ। কিন্তু সেটাই যদি হয় তাহলে কোন দলে! অস্বীকার করার উপায় নেই বেশিরভাগ মানুষই মনে করছেন সৌরভ রাজনীতিতে এলে তৃণমূলেই যোগ দেবেন। কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিবিড়। রাজ্য সরকারের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক মসৃণ। সেই সূত্রে তৃণমূলেই যোগ দিতে পারেন সৌরভ। আবার অনেকে মনে করছেন দিলীপ ঘোষকে যেহেতু বাংলা থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং পদ্মশিবিরের পুনঃজাগরণের জন্য একটি সর্বগ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয়, বিশ্বাসযোগ্য মুখ চাই, সেইক্ষেত্রে বিজেপির বাংলার বুকে সব থেকে বড় বাজি হতেই পারেন সৌরভ। ভুললে চলবে না সৌরভের বাড়িতে কিছুদিন আগেই এসে মহাভোজ সেরে গিয়েছেন অমিত শাহ। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুইজনই মনেপ্রাণে চান সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিন। দুইজনের সঙ্গেই সৌরভের সম্পর্ক খুব ভালো। তবে অনেকে একথাও বলছেন সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিলে তার জন্য বিসিসিআই সভাপতি পদ ছাড়তেন না। তিনি বিজেপি থেকে দূরে থাকতে চান, তাই বিসিসিআই-এর সভাপতি পদও ত্যাগ করেছেন।