নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে লাগাতার তাঁর বর্তমান স্ত্রী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। আসন্ন কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে শোভনের ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়কে। আর সেই বিষয়ে শোভন চট্ট্যোপাধ্যায় বেনজির আক্রমণ করেছেন নিজের স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। শোভন বলেছেন, ‘আমার কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে কালনাগিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। কে বা কারা জড়িত এটা তারা ভালো বুঝেছে। আমি এর শরিখ হতে পারব না।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই ওয়ার্ডের মানুষদের জন্য রত্না কিছু করেননি। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আলপিনের মতো জায়গাও নেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। কাক এবং কোকিল এক রকম দেখতে। ডাক দিয়ে বোঝা যাবে কে আলাদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আমি কলকাতার মেয়র ছিলাম। আলাদা করে ভোটে লড়াই করব না।’ রত্নার বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই প্রার্থী হবেন না তিনি জানিয়েছেন শোভন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি শোভনের জন্য কোনও ওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে যাব এই প্রশ্ন কেন আসবে! আমি যদি ওই এলাকায় থাকতাম। আমার যদি ওই এলাকার উন্নয়নে কোনও অবদান থাকত তাহলে নিশ্চই বলতাম আমার এখানে একটা ভূমিকা রয়েছে। শোভন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রচুর কাজ করেছে। কিন্তু, যাঁরা ওই ওয়ার্ডটিকে গড়ে তুলতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিল সেই আদি তৃণমূলের লোকজনকে কিন্তু রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।’
রত্না চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী ছেড়ে গিয়েছে তাই আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর ভালোবাসার বিকল্প তো আর বিধায়ক বা কাউন্সিলর পোস্ট হতে পারে না। আমাকে যদি বলা হয় শোভনবাবুর সঙ্গে সম্পর্কটা ছেড়ে দাও, তোমাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হবে বা পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী করা হবে, তাহলেও কোনওদিন ওঁর হাত ছাড়ব না।’