নিজস্ব প্রতিনিধি: পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগ নিয়ে বিজেপির দায়ের করা মামলার শুনানি মুলতুবি করলেন স্পিকার। বিধানসভার স্পিকারের তরফেই পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয় মুকুল রায়কে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রথমে বিধানসভা তারপরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। যার শুনানি ছিল শুক্রবার বিধানসভায়। শুনানিতে হাজির ছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও আইনজীবী বিল্বদল মুখোপাধ্যায়। শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানিতে গরহাজির ছিলেন খোদ চেয়ারম্যান মুকুল রায়। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছুটি লিখিয়েছেন তিনি। তাই হাজিরা দেননি।
শুক্রবার শুনানি শুরু হলেও মাত্র আধঘন্টায় তা মুলতুবি করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ হিসেবে স্পিকার জানান, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর দায়ের করা মামলাটির চলছে। সেই কথা উল্লেখ করেই শুনানি মুলতুবি করে দেন স্পিকার। যেহেতু মামলাটি আদালতের বিচরাধীন তাই বিধানসভায় শুনানি হলে আদালত অবমাননার কাজ হবে। সেই যুক্তি দিয়েই শুক্রবারের শুনানি মুলতুবি করে নতুন তারিখ দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, ১১ জুন সবাইকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল রায়। কিন্তু বিধানসভায় এখনও খাতায় কলমে তিনি বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতার দাপাদাপির সত্বেও দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে বিধায়ক পদ খারিজ হয় নি মুকুলের। তাই স্পিকার পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকেই বসান। যার ভিত্তিতে মুকুলের দলবদলের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তাঁকে পিএসসি-র চেয়ারম্যান করার বিরুদ্ধেও স্পিকারের কাছে আবেদন করে বিজেপি পরিষদীয় দল। তিন মাসেও বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ভিত্তিতে স্পিকারকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ করতে নির্দেশ দেয় আদালত। যার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। যার বিচার প্রক্রিয়া চলছে এখনও। সেই যুক্তি দেখিয়েই শুক্রবার পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের মামলা মুলতুবি করেছেন।