নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Legislative Assembly) বর্ষাকালীন অধিবেশনের(Monsoon Session) দ্বিতীয় দফার অধিবেশন চলছে। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে(Zero Hour) হাজির থাকার কথা ছিল রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya) এবং বিধায়ক কল্লোল খাঁর(Kallol Khan)। কিন্তু দেখা গেল দুইজনই বিধানসভায় এলেন দেরী করে। আর তাতেই দুইজনের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee)। কার্যত দুইজনকেই তাঁর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে পর্যটন দফতরের প্রতি একটি প্রশ্ন ছিল যার উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব ছিল বাবুলের ওপর। কিন্তু তিনি বিধানসভায় পৌঁছানই দেরী করে। আর তা দেখে তাঁকে উদ্দ্যেশ্য করে অধ্যক্ষ যথেষ্ট কড়া ভাবেই বলে ওঠেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় আপনি অনেক দেরি করে ঢুকেছেন। এটা ঠিক নয়। আপনার প্রশ্ন থাকলে সময় আসবেন।’ একই ঘটনা ঘটে বিধায়ক কল্লোল খাঁর ক্ষেত্রেও। পর্যটন নিয়ে আগেই একটি প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন কল্লোল খাঁ। এদিন সেই প্রশ্ন উত্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু তিনিও এদিন বিধানসভায় দেরি করে পৌঁছান। তাই পরবর্তী সময় তাঁকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়ে তাঁকে ভবিষ্যতে দেরি করে না আসার বিষয়ে সতর্ক করেন অধ্যক্ষ।
রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন সারা বছর ধরে চলে না। বরঞ্চ তা ৩-৪ দফায় চলে। শীতকালীন অধিবেশন, বাজেট অধিবেশন এবং বর্ষাকালীন অধিবেশন মূলত এই ৩টি অধিবেশন নিয়ম করে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য বিধানসভায়। সেই সময়েই রাজ্য সরকার বিল উত্থাপন করে, তা নিয়ে আলোপচনা করে ও তা পাশ করে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের সেই সময় সেই দফতর সম্পর্কিত যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন রাজ্যের যে কোনও বিধায়ক। তার জন্য আলাদা করে প্রশ্নোত্তত পর্বের সময়ও রাখা হয়। এর আগে একাধিকবার চোখে পড়েছে রাজ্যেরই শাসক দলের বিধায়কেরা এবং মন্ত্রীরা ঠিক মতন এই অধিবেশনে যোগ দেন না। যোগ দিলেও দেরীতে আসেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বেড়িয়ে যান। এই নিয়ে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে নিজ দলেরই বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের নিয়ম করে বিধানসভায় আসতে ও সেখানে বেশিক্ষণ সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে সেই ছবি খুব একটা বদলায়নি।