নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে(Sarasari Mukhomantri Helpline) আসা অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হতে হবে। শুধু Action Taken Report পাঠিয়ে দিলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে না। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নির্দিষ্ট সেল(Special Cell in every District) তৈরি করে অভিযোগকারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে। কোনও সমস্যার সমাধান না করা গেলে তা কারণ সহ ব্যাখ্যা করতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব(State Home Secretary) বি পি গোপালিকা। নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো কোনও জেলায় যাতে পুলিশ অযথা ব্যবসায়ীদের বিরক্ত না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রতিটি জেলা পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
কিন্তু কীভাবে অভিযোগ গ্রহণ ও তার নিষ্পত্তি হবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে? উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, কেউ হয়তো আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে বা ফোন করে তাঁকে বোঝাতে হবে, এখন কেন আবাস প্রকল্পে সমস্যা চলছে। পাশাপাশি, এমন ব্যক্তিরা রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলে তাঁদের জন্য সেটাই সুনিশ্চিত করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। এর জন্য প্রয়োজনে বিশেষ দল তৈরি করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে যাঁরা ফোন করেন, তাঁদের সমস্ত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের কাছে। ফলে এই বিশেষ দলে থাকা আধিকারিকদেরই অভিযোগকারীদের ফোন করে তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে।
একই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে, পুলিশ যাতে অযথা ব্যবসায়ীদের বিরক্ত না করে, সেদিকেও। গত বুধবার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ব্যবসায়ীদের থেকে পুলিশ টাকা চাইলে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে ফোন করুন। সব পুলিশ খারাপ নন। কিন্তু ২-১জনের জন্য পুরো ডিপার্টমেন্ট আর সরকারের বদনাম হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অভিমত তুলে ধরেন। এবার সেই মতোই জেলা পুলিশ প্রশাসনগুলিকে থানার আধিকারিকদের ওপর কড়া নজরদারির বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি পুলিশের উচ্চ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ থাকে তাহলেও ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে ফোন করতে বলা হয়েছে।