নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বাঙালির আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে বিজেপিকে রাজনৈতিক ডিডিডেন্ড তুলে দিতে আসরে নেমেছে আরএসএস। আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে শহিদ মিনারে প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে শহরে এসেছেন সঙ্গ প্রধান মোহন ভাগবত। আরএসএসের আচমকা সুভাষ প্রীতিতে ক্ষুব্ধ নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাবা আরএসএসের কট্টর সমালোচক ছিলেন।তিনি হিন্দু হলেও সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। সবাইকে এক সাথে নিযে চলতে পারতেন।’ নেতাজি কন্যার এমন বিবৃতিতে যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়েছে সঙ্ঘ নেতৃত্ব।
বিধানসভা ভোটের আগে নেতাজির আবেগ নিয়ে সুড়সূড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু ভোটের কারণেই যে পদ্ম শিবিরের আচমকা নেতাজি প্রীতি জেগেছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বাঙালির। নীল বাড়ি দখলে বিজেপির ওই চাল ভেস্তে গিয়েছিল। তবে তাতে দমেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে নেতাজিকে বাঙালির আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়ার লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।রাজধানী দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির বিতর্কিত আবক্ষ মূর্তির উন্মোচনও করেছেন।
মোদির পরে নেতাজিকে নিয়ে বাঙালি আবেগে সুড়সুড়ি দিতে আসরে নেমেছে বিজেপির মেন্টর হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বও। চলতি বছরে ঘটা করেই দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানের জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কটর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনৃইর পক্ষ থেকে। কিন্তু আরএসএসের ওই উদ্যোগের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ। তাঁর কথায়, ‘নেতাজি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু ধমনিরপেক্ষতায় আরএসএস বিশ্বাস করে বলে আমি মনে করি না। যদি সত্যিই আরএসএস নেতাজির চিন্তাধারাকে নিজেদের চিন্তাধারা হিসেবে মেনে নিতে পারে, তাহলে তো খুবই ভাল হয়। কিন্তু তা সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। নেতাজিকে ভুল কাজে ব্যবহার করাকে কোনও রকমেই সমর্থন করব না।’